মসনদ ছেড়ে চলে যাওয়ার তিন মাস পর দিল্লি-সহ গোটা দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি বুধবার বলেন, “মাঝপথে সরকার থেকে পদত্যাগ করার জন্য আমি দিল্লি এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭০টি আসনের ২৮টি দখল করে আপ। জোট শরিক অকালি দলের এক বিধায়ক-সহ বিজেপি পেয়েছিল ৩২টি আসন। ৮টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। বাইরে থেকে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে দিল্লিতে সরকার গড়ে আপ। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু বিধানসভায় কংগ্রেস-বিজেপি-র বিরোধিতায় ‘জন লোকপাল বিল’ পাশ করাতে না-পারায় এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন ৪৯ দিনের মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল। এ দিন সে জন্যই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন তিনি। তিনি বলেন, “দলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নির্বাচনে ফের লড়তে আপ নিজেকে প্রস্তুত করবে। আমরা মানুষের কাছে আবার যাব। তাঁদের আস্থা অর্জন করব, যাতে পরের নির্বাচনে আমরা একক ভাবে সরকার গড়তে পারি।”
বারাণসীতে মোদীর বিপক্ষে লোকসভা নির্বাচনে হারার পর মঙ্গলবার দিল্লির উপ-রাজ্যপাল নাজিব জঙ্গ-এর সঙ্গে দেখা করেন অরবিন্দ। রাজ্যপাল যেন এখনই বিধানসভা না-ভাঙেন সে বিষয়ে অনুরোধ জানান তিনি। দিল্লিবাসীর কাছে অরবিন্দ তার আগে জেনে নিতে চাইছেন, পুনরায় আপ-এর সরকার গঠন করা উচিত হবে কি না। কংগ্রেস যদিও ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, ফের আপ-কে সমর্থন করার কোনও প্রশ্নই নেই।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির তিন বিজেপি-বিধায়ক সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন, হর্ষ বর্ধন, রমেশ বিধুরি এবং পরবেশ বর্মা। কাজেই বিজেপি-র এই মুহূর্তে বিধায়ক সংখ্যা ২৮। বিজেপি যদিও এই বিধানসভা ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচনে যেতে চাইছে।