মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান মার্কণ্ডেয় কাটজুর অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার উত্তাল হয়েছিল সংসদ। বুধবার সেই বিতর্কে সরব হল মোদী সরকার। এ দিন সরকারের তরফে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বিষয়ভিত্তিক বিবৃতি দাবি করা হয়।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু জানিয়েছেন, ইউপিএ সরকার কী ভাবে কাজ করেছে, কাটজুর অভিযোগ তা প্রকাশ্যে এনেছে! ওই আমলে প্রতিটি বিষয়ে বিষয়েই আপস করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কাটজুর অভিযোগ নিয়ে মনমোহনের নীরব থাকাকে কটাক্ষ করে তিনি এ দিন বলেন, “তাঁর নীরবতাই বলে দিচ্ছে কিছু একটা লুকানো হচ্ছে। বিচারবিভাগের স্বার্থেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মুখ খোলা উচিত। সত্যিই কি তিনি চাপে ছিলেন?” পুরো বিষয়টা সাধারণ মানুষের জানার অধিকার আছে বলেও জানিয়েছেন সংসদীয়মন্ত্রী।
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কাটজু অভিযোগ তুলেছিলেন, মাদ্রাজ হাইকোর্টের এক অতিরিক্ত বিচাপতির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাঁর মেয়াদ বাড়িয়েছিল ইউপিএ সরকার। সরকার বাঁচাতে দক্ষিণের এক শরিক দলের চাপের মুখে পড়ে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে কাটজুর অভিযোগ। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ মঙ্গলবার সংসদে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ওই বিচারপতির মেয়াদ কেন বানানো হচ্ছে না সে বিষয়ে তিন সদস্য নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। আইনমন্ত্রীর এই বিবৃতিতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস। দু’বার মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের অধিবেশন।