বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য কেনাবেচার অভিযোগে মুর্শিদাবাদের একটি অননুমোদিত মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত মৌলনা আনোয়ার খান ওরফে আফসার একটি মসজিদের ইমামও। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে বেলডাঙার হরেকনগর দক্ষিণপাড়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত ওই ইমামের সঙ্গে বর্ধমানের খাগড়াগড় কাণ্ডের যোগ রয়েছে কি না সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত থাকার ঘটনায় মৌলনা আনোয়ার খান-সহ মোট ৭ জনকে ওই রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ধৃতদের কাছ থেকে ৬টি পাইপগান, ৭.৬২ বোরের ২টি পিস্তল, ২টি মাসকেট, ৪টি ম্যাগাজিন, ১৭ রাউন্ড গুলি এবং ১৪ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।” পুলিশ সুপার আরও জানান, বর্ধমানের খাগড়াগড়-কাণ্ডের সঙ্গে অস্ত্র কারবারি মৌলনা আনোয়ার খানের যোগাযোগ থাকার সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, দ্রুত তদন্তের স্বার্থে ধৃত মৌলনার ছবি বুধবার দুপুরেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশ ও রাজ্য গোয়েন্দা কর্তাদের কাছে।
৫২ বছর বয়সী মৌলনা আনোয়ার খানের আদি বাড়ি নদিয়ার কোতোয়ালি থানার ছিটকাপোতা গ্রামে। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি থাকেন মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর থানার দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অমরপুর গ্রামে।
মৌলনা আনোয়ার খান ও তার অস্ত্র ব্যবসার হদিস পাওয়া গেল কী ভাবে?
পুলিশ জানায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার রেজিনগর থানা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে আসগর শেখ ও আনিসুর শেখ নামের দু’ জনকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃত ৫২ বছরের আসগর শেখ এবং ২৫ বছরের আনিসুর শেখের বাড়ি নদিয়ার কালিগঞ্জ থানার দেবগ্রাম লাগোয়া জুড়ানপুর গ্রামে। ধৃতরা ওই সব আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় থেকে পেয়েছে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তার পর শুরু হয় আনোয়ার খানের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা। পুলিশ সুপার বলেন, “অবশেষে মঙ্গলবার রাতে বেলডাঙার হরেকনগর দক্ষিণপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় আনোয়ার খান ওরফে আফসারকে।”
ধৃত সাত জনকে এ দিন বহরমপুর সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।