নিশ্চিন্তের ঘুম।—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাতে যাত্রী প্রত্যাখ্যানের অধিকার দেওয়া হয়েছে ট্যাক্সিচালকদের। তাঁর ইচ্ছেতে ইতিমধ্যেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে নিয়ম ভাঙার জন্য ট্যাক্সিচালকদের কাছ থেকে পুলিশের জরিমানা নেওয়ার পরিমাণও। এ বার হকারদের ক্ষেত্রেও তিনি হাত উজাড় করে দিলেন। শুক্রবার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে হকারদের ডেকে সে কথাই শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, হকারেরা গরিব। ব্যবসা করলেও বৈধ কিছুই ছিল না। সরকার তাঁদের বৈধ লাইসেন্স দেবে। ব্যবসার অধিকার দেবে। সেই সঙ্গে নামমাত্র টাকায় হকারদের বিমার সুবিধাও দেবে সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা শুনে স্টেডিয়ামে হাজির কয়েক হাজার হকার মুখ্যমন্ত্রীর জয়ধ্বনি করে ওঠেন।
তবে হকারদের কী ভাবে চলতে হবে তারও একটি রূপরেখা এ দিন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, হকারদেরও মনে রাখতে হবে, দোকান ঘিরে বসা যাবে না। রাস্তার উপরে বসা যাবে না। আর পুরো ফুটপাথ দখল না করে পথচারীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথাও মাথায় রাখতে হবে। হকারদের ওই কথা বললেও নিউমার্কেট চত্বর জুড়ে গত তিন দিন ধরে হকারদের ‘দৌরাত্ম্য’-র প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের ডাকা বন্ধ নিয়ে কোনও কথা বলেননি মমতা।
যদিও পুরভোটের আগে শহরের হকারদের ওই ‘সুবিধা’ দেওয়া নিয়ে রীতিমতো সরব বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, করদাতাদের টাকায় দানছত্র খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরভোটের আগে এটা নির্বাচনী চমক। বিরোধীদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাতেই রয়েছে সবই হবে পুরভোটের পর। দু’-তিন দিনের মধ্যেই কলকাতা পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি বের হবে। তার আগেই হকারদের সমর্থন আদায়ে তৎপর সরকার।