বাসে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল পাঁচ তীর্থযাত্রীর। রবিবার ভোরে তামিলনাড়ুর রামানাথপুরম জেলার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন বিশ্বনাথ দাস (৬৮), বিশ্বনাথ মণ্ডল (৭৮), গোপাল (৭০), দুর্গা চোমড়ে (৫০) এবং মালতি নাইকেল (৬০)। এঁরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া, হুগলি এবং বাঁকুড়ার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এঁদের মধ্যে বিশ্বনাথ দাসের বাড়ি হুগলির গোঘাটের শ্যাওড়ায়, দূর্গা চোমড়ে গোঘাটেরই হাজিপুরের বাসিন্দা এবং বিশ্বনাথ মন্ডল থাকতেন তারকেশ্বরের কানারিয়ায়। হাওড়ার উদয়নারায়নপুর থানার রাজবলহাট অঞ্চলের নাইটা গ্রামে বাড়ি ছিল গোপাল বাউড়ির এবং বাঁকুড়ার কোতলপুর থানার বাসুদেবপুরের বাসিন্দা ছিলেন মালতি নাইকেল। দুর্গুঘটনায় রুতর আহত হয়েছেন আরও ছ’জন। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাসে মোট ৭৮ জন যাত্রী ছিলেন। তিরুপতি ও রামেশ্বরম দর্শনের পর তাঁরা কন্যাকুমারীর উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। ভোররাতে তিরুপুল্লানির কাছে বাসে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি চলাকালীন চালক হঠাত্ই বাসের লুকিং গ্লাস থেকে বাসের পিছন থেকে আগুনের ফুলকি বেরোতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাসটি থামিয়ে যাত্রীদের বাস থেকে নেমে যেতে বলেন। তখনই বাসে রান্নার জন্য রাখা দু’টি সিলিন্ডারের মধ্যে একটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় হাওয়ার তীব্রতা বেশি ছিল। ফলে বাসে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাসের চালক ও ট্যুরিস্ট গাইড অধিকাংশ যাত্রীদের বাস থেকে নামাতে সক্ষম হলেও বাসের পিছনের আসনে বসে থাকা বাকি ১১ জনকে উদ্ধার করতে পারেননি ধোঁয়া ও আগুনের তীব্রতার কারণে। পরে পুলিশ এসে ছ’জনকে উদ্ধার করলেও বাকি পাঁচ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ অগস্ট তীর্থযাত্রীদের নিয়ে হুগলির আরামবাগের একটি ভ্রমণ সংস্থার বাস ভাড়া নিয়ে বাসটি দক্ষিণ ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। পথে হাওড়া-হুগলি এবং বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রীদের তোলা হয় বলে জানা গিয়েছে।