ডিমাপুর-কাণ্ডে গ্রেফতার ১৮

ডিমাপুর-কাণ্ডে জড়িত অভিযোগে রবিবার ১৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার সময়ে মোবাইল ফোনে তোলা ভিডিও দেখেই এই ১৮ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ধর্ষণকারী দাবি করে জেল থেকে বের করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় শরিফ ওরফে ফরিদকে। বৃহস্পতিবারের ওই নৃশংস ঘটনার পর থেকেই নাগাল্যান্ড এবং অসমের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদে সামিল হন আমজনতা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ডিমাপুর শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৫ ১৫:৫৪
Share:

Advertisement

ডিমাপুর-কাণ্ডে জড়িত অভিযোগে রবিবার ১৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার সময়ে মোবাইল ফোনে তোলা ভিডিও দেখেই এই ১৮ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

Advertisement

ধর্ষণকারী দাবি করে জেল থেকে বের করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় শরিফ ওরফে ফরিদকে। বৃহস্পতিবারের ওই নৃশংস ঘটনার পর থেকেই নাগাল্যান্ড এবং অসমের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদে সামিল হন আমজনতা। ডিমাপুর-কাণ্ডের জল যাতে আর বেশি দূর না গড়ায় সে কারণে নাগাল্যান্ড সরকার ঘটনার পর থেকেই এলাকায় কার্ফু জারি করে। বন্ধ রাখা হয় টেলিফোন পরিষেবা। তবে রবিবার সকাল থেকে ফোন পরিষেবা চালু হলেও ইন্টারনেট এবং এসএমএস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

সেনা ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক ধরেই নাগাল্যান্ডবাসীরা বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ার কাজ করছিল। বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে ফরিদকে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখেছেন তারা। পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাতেও অসম-নাগাল্যান্ড সীমান্তে পুলিশ এবং নাগা জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ এর ম্যাগাজিন ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় ২৪ ফেব্রুয়ারি ফরিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডিমাপুরের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ও উন্মত্ত জনতা তাকে জেল থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে, প্রকাশ্যে নগ্ন দৌড় করিয়ে, পিটিয়ে খুন করে দেহটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিশাল জনতার সামনে রীতিমতো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে পুলিশ। এই ঘটনার পরই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement