হেলিকপ্টার থেকে বেড়িয়ে খাগড়াগড়ের পথে ডিজি-সহ অন্য তদন্তকারীরা। ছবি: উদিত সিংহ।
খাগড়াগড় কাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এলেন এনআইএ-র ডিজি শরদ কুমার। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে বর্ধমান যান শরদ কুমার। বর্ধমান থেকে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বেলা সওয়া ১টা নাগাদ বেলডাঙা পৌঁছন তিনি। তাঁর সঙ্গে রয়েছে তদন্তকারীদের একটি দল।
১০ অক্টোবর খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি জানতে পারে শুধুমাত্র খাগড়াগড় নয়, চক্রান্তের জাল ছড়িয়ে রয়েছে রাজ্যের অন্যত্রও। বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও একে একে উঠে আসে মুর্শিদাবাদের লালগোলা, বেলডাঙা থেকে বীরভূমের কীর্ণাহারের নামও। এনআইএ-র তদন্তের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে ডিজির আসার কথা জানা যায় দিন কয়েক আগে। সেই মতো এ দিন সকালে রাজ্যে পৌঁছন তিনি। বর্ধমানে পৌঁছে প্রথমেই তিনি যান খাগড়গড়ের বিস্ফোরণস্থলে। সকাল ১১টা নাগাদ সেখানে পৌঁছে মিনিট পনেরো বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন শরদ কুমার। এর পর তিনি চলে যান বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত শেখ রেজাউলের বাদশাহী রোডের বাড়িতে। মিনিট দশেক সেখানে কাটিয়ে ফের নবাবহাটের হেলিপ্যাডে গিয়ে মুর্শিদাবাদের দিকে রওনা হন তিনি। সাড়ে ১২টা নাগাদ মুর্শিদাবাদ সার্কিট হাউসে পৌঁছয় দলটি। সেখান থেকে সড়ক পথে বেলডাঙায় অন্যতম অভিযুক্ত শাকিল গাজীর বাড়িতে যান এনআইএ প্রধান। মিনিট পনেরো সেখানে কাটিয়ে তিনি ফারাজিপাড়ায় শাকিলের বোরখার কারখানায় যান। বেলা দু’টো নাগাদ সেখান থেকে সরাসরি বহরমপুর চলে যায় দলটি। ঝটিকা সফর সেরে এ দিন বিকেলে কলকাতায় ফেরার কথা তাঁর। শনিবার সকালে দিল্লি ফেরার কথা তাঁর।