সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হল সোমবার। যৌথ অধিবেশনের মধ্য দিয়ে এ দিন তার সূচনা করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সুষ্ঠু ভাবে সংসদ চালানোর জন্য সাংসদদের ‘সহযোগিতা’র কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। কিন্তু, জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্স (অধ্যাদেশ) নিয়ে তিনি কোনও কথা বলেননি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও তাঁদের পরিবারকে সরকার যে পূর্ণ সুরক্ষা দেবে, সে বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এ দিন সকাল ১১টায় সংসদে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মিনিট পাঁচেক পরে শুরু হয় যৌথ অধিবেশন। সরকার গত ন’মাসে কী কী পদক্ষেপ করেছে সে বিষয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে ১৮ পাতার লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান রাষ্ট্রপতি। আগামী দিনেও মোদী সরকার দেশের উন্নয়নে কোন কোন কাজ করবে তারও একটা আভাস প্রণববাবু দিয়েছেন। এই সরকারের মূল লক্ষ্য যে ‘সবার সঙ্গে, সবার বিকাশ’ সে কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি।
সংসদ চালানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি প্রত্যেক সাংসদকে তাঁদের তহবিলের ৫০ শতাংশ ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এ খরচ করার অনুরোধ করেন। ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকার ‘প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা’ চালু করেছিল। এ দিন রাষ্ট্রপতি জানান, সেই প্রকল্পে ১০০ শতাংশের কাছাকাছি সাফল্য মিলেছে। যেটুকু বাকি আছে, তা আগামী ছ’মাসের মধ্যে হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
নারী প্রগতির জন্য ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের সূচনা করেছিল মোদী সরকার। এ দিন তার উল্লেখ করেন প্রণববাবু। এরই পাশাপাশি তিনি বলেন, “নারীশক্তির উন্নয়নে এবং তাঁদের মর্যাদা রক্ষায় সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। ‘হিম্মত’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আনা হয়েছে।”
আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যে দেশের সব স্কুলে শৌচালয় নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে এ দিন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় ‘নীতি আয়োগ’ও সহায়তা করবে বলে তাঁর আশা। রেল পরিষেবার পাশাপাশি এ দিন তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহারের কথাও। স্মার্ট পুলিশ থেকে জাতীয় নিরাপত্তার প্রসঙ্গও ছিল তাঁর বক্তব্যে।
‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ বলে সংসদের যৌথ ভাষণে দাঁড়ি টানেন প্রণববাবু। আগামী বৃহস্পতিবার সংসদে রেল বাজেট পেশ করবেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। শনিবার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। গত মে মাসে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের ১০ জুলাই প্রথম বাজেট পেশ করেছিলেন জেটলি।