—ফাইল চিত্র।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের জট কাটাতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১৯ ডিসেম্বর প্রকল্পের জট কাটাতে মেট্রোরেল কর্পোরেশন, প্রকল্পের ঠিকাদার সংস্থা, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি, কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশকে একসঙ্গে বৈঠকে বসতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া। তিনি ওই দিন আরও নির্দেশ দেন, বৈঠকে কী হল, তা রিপোর্ট আকারে কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশনকে সোমবার জানাতে হবে।
এ দিন বেলা পৌনে একটা নাগাদ মামলার শুনানি শুরু হতেই রিপোর্ট জমা না পড়ায় ক্ষোভ উগরে দেন বিচারপতি পাথেরিয়া। বিচারপতি বলেন, বৈঠকের আলোচ্যসূচি তিনি জমা দিতে বলেননি। বলেছিলেন বৈঠকে কী সুরাহা হল তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে।
রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি পাথেরিয়া আরও জানান, প্রকল্পের জট কাটাতে কোনও কোনও অফিসার উদ্যোগী হচ্ছেন না। তা হলে তাঁদের সরে দাঁড়ানো উচিত। ওই অফিসারেরা কেবল বেতন নেবেন আর ফাইল আটকে বসে থাকবেন কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি পাথেরিয়া। এর পরেই ওই দিনের বৈঠকে যাঁরা হাজির ছিলেন, তাঁদের সকলকে এ দিনই বেলা দু’টোয় হাজির হতে বলেন বিচারপতি পাথেরিয়া। নির্দেশ পেয়ে তাঁরা হাজির হলে, বিচারপতি পাথেরিয়া সংশ্লিষ্ট দফতরের অফিসার ও তাঁদের আইনজীবী ছাড়া অন্য সবাইকে এজলাস থেকে বাইরে যেতে নির্দেশ দেন।
রুদ্ধদ্বার আদালতে এর পরে ফের মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট দফতরের আইনজীবীরা জানান, প্রকল্পের জট কাটাতে বিচারপতি পাথেরিয়া পাঁচ জনের একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন। রেলবোর্ড, কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন, রাজ্য সরকার, কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভার এক জন করে প্রতিনিধি নিয়ে ওই কমিটি গড়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে ওই কমিটি যে সব বিষয়ে আলোচনা করবে তা হল, হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ স্টেশন পর্যন্ত কাজ কী ভাবে হবে। মহাকরণ স্টেশন অন্যত্র গড়তে হলে কী করতে হবে। হাওড়া ময়দান থেকে সুড়ঙ্গ তৈরি করে আসার পরে সুড়ঙ্গ কাটার যন্ত্র কলকাতার কোন জায়গায় উঠবে। প্রকল্পের বিকল্প রুট তৈরি হলে, তার বাড়তি টাকা জোগাবে কে। ব্রেবোর্ন রোডের হকারদের পুনর্বাসনের কী হবে ইত্যাদি।