মিসবাদের সঙ্গে শেষ আটে গেইলরা

গ্রুপ পর্যায়ে তাদের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের পাকিস্তানের সঙ্গে শেষ আটে উঠল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রবিবার নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারে আমিরশাহিকে তারা ৬ উইকেটে হারাল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৫ ১০:৩৫
Share:

বোলার টেলরকে অভিনন্দন স্যামির। আমিরশাহির খুররম খানের উইকেট পড়ার পর। ছবি: এএফপি।

গ্রুপ পর্যায়ে তাদের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের পাকিস্তানের সঙ্গে শেষ আটে উঠল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রবিবার নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারে আমিরশাহিকে তারা ৬ উইকেটে হারাল।

Advertisement

এ দিনের জয়ের পর পয়েন্ট তালিকায় একলাফে তিন নম্বরে উঠে আসেন গেইলরা। শুধু তা-ই নয়, মাত্র ৩০.৩ ওভারে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পার করায় নেট রানরেটেও পাকিস্তান এবং আয়ারল্যান্ডের থেকে এগিয়ে গেল তারা। তবে নকআউটের টিকিটের জন্য গেইলদের নজর থাকবে অ্যাডিলেডের পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচের ফলাফলের দিকে। ওই ম্যাচের বিজয়ীর শেষ আটে যাওয়া নিশ্চিত। তবে ম্যাচ টাই হলে সে ক্ষেত্রে শেষ আটে যাবে দু’দলই। নেট রানরেটে গেইলরা পিছিয়ে পড়লে অবশ্য বিশ্বকাপ থেকে এ বারের মতো বিদায় নেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এ দিনের অন্য ম্যাচে পাকিস্তান আইরিশদের হারানোয় শেষ পর্যন্ত গ্রুপে চার নম্বরে শেষ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেয আটেও উঠল তারা।

পুল বি-র ম্যাচে খেলতে নামার আগে আমিরশাহির ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিপক্ষ ছিল আবহাওয়া এবং নেট রানরেট। বৃষ্টির জন্য এ দিনের ম্যাচ ভেস্তে গেলে বিদায় নিতে হত তাদের। আবহাওয়ার সঙ্গ পাওয়ার পর নেট রানরেটের টার্গেটও জয় করে তারা।

Advertisement

টসে জিতে এ দিন প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হোল্ডার। ক্যারিবিয়ান পেস অ্যাটাকের সামনে মাথা তুলতে পারেনি আমিরশাহি ব্যাটসম্যানেরা। ৮.২ ওভারের মধ্যেই প্যাভিলিয়ানে ফিরে যান তাদের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান। হোল্ডারকে (৪-২৭) যোগ্য সঙ্গত করেন সতীর্থ পেসার জেরম টেলর (৩-৩৬)। লোয়ার অর্ডারে নেমে নাসির আজিজ (৬০ রান) এবং আমজাদ জাভেদ (৫৬ রান) গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস না খেললে হয়তো আরও কম রানে ইনিংস শেষ করতে হতো টুর্নামেন্টে সবক’টি ম্যাচ হারা আমিরশাহিকে।

নেট রানরেটের জটিল হিসাবে আমিরশাহির করা ১৭৬ রান ৩৬.২ ওভারে পার করার টার্গেট ছিল তাদের সামনে। চোটের জন্য এ দিন মাঠে নামতে পারেননি ক্রিস গেইল। গেইলের অনুপস্থিতিতে রান তাড়া করতে নেমে চলতি বিশ্বকাপে দলে প্রথম সুযোগেই নজর কাড়লেন জনসন চার্লস। ওপেন করতে নেমে ৪০ বলে ৫৫ রানের পরিচ্ছন্ন ইনিংস খেললেন তিনি। মাত্র ১৫ রানে তাঁর সঙ্গী ডোয়েন স্মিথের উইকেট পড়লেও অবিচল থাকেন চার্লস। মার্লন স্যামুয়েলসের উইকেট পড়লেও জোনাথন কার্টারের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। চার্লসের উইকেট পড়ার পর দলের হাল ধরেন কার্টার। ৫৮ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি। আন্দ্রে রাসেলের উইকেট সহজে তুলে নিলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশেষ বেগ দিতে পারেননি আমিরশাহির বোলাররা। পঞ্চম উইকেটে দীনেশ রামদিনের (৩৩ রান) সঙ্গে জুটিতে ম্যাচ বার করে নেন কার্টার। আমিরশাহির ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement