হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সিপিএম সমর্থক। —নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবারই ভোটের প্রচার চালানোর সময়ে গোপালনগর মোড়ে পুলিশের সামনেই আক্রান্ত হতে হয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। আর নববর্ষের দুপুরে কাশীপুরে শাসক দলের অভ্যন্তরীন বিবাদে গুলি, বোমাবাজির সাক্ষী শহরবাসী। এই ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই ফের শহরে বিরোধীদের উপরে হামলা! এ ক্ষেত্রেও অভিযোগের নিশানায় শাসক দল।
বৃহস্পতিবার সিপিএমের মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সিপিএম প্রার্থী অমিত জানার সমর্থনে সকালে পাটুলিতে একটি মিছিল বের করেন সিপিএম সমর্থকেরা। মিছিলে নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী। সুজনবাবু মিছিল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই তৃণমূলের কয়েক জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী সিপিএম সমর্থকদের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তবে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনায় চার জন সিপিএম সমর্থক গুরুতর আহত। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পাটুলি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম সমর্থকেরা। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন সিপিএম নেতা সুজনবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ১৫-২০ জন হামলা চালালো, পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখল। রাজ্যে কি নির্বাচন কমিশন বলে কোনও বস্তু নেই? জঙ্গলে বাস করছি।’’
বুধবার রাতে বাঘা যতীনে সিপিএমের একটি অফিসে ঢুকে কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ৫-৬ জন কর্মী-সমর্থক গুরুতর আহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে রাত ১০টা নাগাদ বাঘা যতীন মোড় অবরোধ করা হয়। এ দিনই কংগ্রেসের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় গরফার নন্দীবাগানে। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে তুমুল বচসা থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত জল গড়ায়।
শুধু এই সব ঘটনাই নয়, পুরভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে উত্তেজনার পারদ ক্রমশই উর্ধ্বমুখী। বড় ঘটনার পাশাপাশি রাজ্যের নানা প্রান্তে ছোটখাটো হামলার ঘটনা চলছেই।