বাসে রুটিন তল্লাশির সময়ে দুই যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছিল কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের। সেই মতো ওই দু’জনকে বাস থেকে নামিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই এক যাত্রী পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই পুলিশ কর্মী। আহত হন আরও দু’জন। আর পুলিশ কর্মীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই পালিয়ে যায় দুই দুষ্কৃতীই।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তেলঙ্গানার
বাসে রুটিন তল্লাশির সমেয় দুই যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছিল কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের। সেই মতো ওই দু’জনকে বাস থেকে নামিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই এক যাত্রী পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই পুলিশ কর্মী। আহত হন আরও দু’জন পুলিশ কর্মী-সহ তিন জন। আর পুলিশ কর্মীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই পালিয়ে যায় দুই দুষ্কৃতীই।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তেলঙ্গানার সূর্যপেট শহরের একটি বাস স্ট্যান্ডের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল লিঙ্গিয়া এবং হোমগার্ড মহেশের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি তেলঙ্গানার এক পুলিশ আধিকারিক-সহ তিন জন গুরুতর জখম। তাঁরা হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
নাগালে মধ্যে থেকে পুলিশকে গুলি করে দুই দুষ্কৃতীর পালানোর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। পুলিশ নিজেদের রক্ষা না করতে পারলে নাগরিকদের নিরাপত্তা কী ভাবে সুনিশ্চিত করবে উঠছে সেই প্রশ্নও।
যদিও এই ঘটনায় পুলিশের কোনও গাফিলতি রয়েছে বলে মানতে নারাজ পুলিশের আধিকারিকরা। পুলিশের ডেপুটি সুপার আব্দুল রশিদ বলেন, “এত দ্রুত ঘটনাটি ঘটেছে যে পুলিশ কর্মীরা কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। সে কারণেই পালানোর সুযোগ পেয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে খুব তাড়তাড়ি তাদের গ্রেফতার করা হবে। ”
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রাতে সূর্যপেট শহরের একটি বাস স্ট্যান্ডে সার্কেল ইন্সপেক্টর মোঘালিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তল্লাশি চালাচ্ছিল। অন্য একটি রাজ্যে ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত অভিযুক্তরা হায়দরাবাদে পালিয়ে এসেছে এমন খবর পুলিশের কাছে ছিল। সে জন্যই ওই রাতে অন্য রাজ্য থেকে আসা বাসগুলিতে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। বাস যাত্রীদেরও তল্লাশি নেওয়া হচ্ছিল। তখনই একটি বাসের দুই যাত্রীকে দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথায় অসঙ্গতি মেলে।
তখন ওই সিআইয়ের নির্দেশেই ওই দুই যাত্রীকে বাস থেকে নীচে নামিয়ে আনেন পুলিশ কর্মীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাদের মধ্যে এক জন আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে বলে পুলিশের দাবি। ঘটনায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক কনস্টেবল এবং হোমগার্ডের বুকে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। আহত হন আরও দুই পুলিশ কর্মী। মোঘালিয়ার দেহে দুটি গুলি লাগে। অন্য দিকে ছুটে পালাবার সময় দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে হন আরও এক ব্যক্তি। জখম পুলিশ কর্মীদের তত্ক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা গেলেও ওই দুই দুষ্কৃতীই পালিয়ে যায় বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দুষ্কৃতীদের কাছে একটি দেশী পিস্তল ছিল। এই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র সাধারনত উত্তরপ্রদেশ বা বিহারের দুষ্কৃতীদের কাছে পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদের কাছ থেকে যে পরিচয় পত্র মিলেছে তাতে তারা ওড়িশার বাসিন্দা বলে উল্লেখ রয়েছে। তবে কী কারণে ওড়িশা থেকে হায়দরাবাদে এসেছে বা পরিচয় পত্রগুলি নকল কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি পলাতক দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে একটি দল গঠন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সূর্যপেট শহরের একটি বাস স্ট্যান্ডের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল লিঙ্গিয়া এবং হোমগার্ড মহেশের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি তেলঙ্গানার এক পুলিশ আধিকারিক-সহ দুই জন গুরুতর জখম। তাঁরা হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
নাগালে মধ্যে থেকে পুলিশকে গুলি করে দুই দুষ্কৃতীর পালানোর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। পুলিশ নিজেদের রক্ষা না করতে পারলে নাগরিকদের নিরাপত্তা কী ভাবে সুনিশ্চিত করবে উঠছে সেই প্রশ্নও।
যদিও এই ঘটনায় পুলিশের কোনও গাফিলতি রয়েছে বলে মানতে নারাজ পুলিশের আধিকারিকরা। পুলিশের ডেপুটি সুপার আব্দুল রশিদ বলেন, “এত দ্রুত ঘটনাটি ঘটেছে যে পুলিশ কর্মীরা কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। সে কারণেই পালানোর সুযোগ পেয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে খুব তাড়তাড়ি তাদের গ্রেফতার করা হবে। ”
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রাতে সূর্যপেট শহরের একটি বাস স্ট্যান্ডে সার্কেল ইন্সপেক্টর মোঘালিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তল্লাশি চালাচ্ছিল। বাস যাত্রীদেরও তল্লাশি নেওয়া হচ্ছিল। তখনই একটি বাসের দুই যাত্রীকে দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথায় অসঙ্গতি মেলে।
তখন ওই সিআইয়ের নির্দেশেই ওই দুই যাত্রীকে বাস থেকে নীচে নামিয়ে আনেন পুলিশ কর্মীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাদের মধ্যে এক জন আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে বলে পুলিশের দাবি। ঘটনায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক কনস্টেবল এবং হোমগার্ডের বুকে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। আহত হন আরও দুই পুলিশ কর্মী। মোঘালিয়ার দেহে দুটি গুলি লাগে। জখম পুলিশ কর্মীদের তত্ক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা গেলেও ওই দুই দুষ্কৃতীই পালিয়ে যায় বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দুষ্কৃতীদের কাছে একটি দেশী পিস্তল ছিল। তাদের কাছ থেকে যে পরিচয় পত্র মিলেছে তাতে তারা ওড়িশার বাসিন্দা বলে উল্লেখ রয়েছে। তবে কী কারণে ওড়িশা থেকে হায়দরাবাদে এসেছে বা পরিচয় পত্রগুলি নকল কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি পলাতক দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে একটি দল গঠন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।