বনগাঁর তৃণমূল সাংসদ কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর প্রয়াত

প্রয়াত হলেন বনগাঁর তৃণমূল সাংসদ কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর (৭৪)। সোমবার সকালে তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এ দিন দুপুরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:০৬
Share:

কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর।—ফাইল চিত্র।

প্রয়াত হলেন বনগাঁর তৃণমূল সাংসদ কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর (৭৪)। সোমবার সকালে তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এ দিন দুপুরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

ঠাকুরনগরের বীণাপানিদেবী তথা বড়মার পরিবার তৃণমূলের হাত ধরে বেশ কিছু দিন ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে সক্রিয়। বড়মার বড় ছেলে কপিল অবশ্য সক্রিয় রাজনীতিতে বেশি দিন ছিলেন না। কয়েক মাস আগেই তৃণমূলের টিকিটে তিনি বনগাঁ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। তাঁর ভাই মঞ্জুলকৃষ্ণ অবশ্য পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় আসার সময় থেকেই রাজ্যের মন্ত্রী। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঠাকুরনগরের মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সুবাদে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের মতুয়া জনগোষ্ঠীর সমর্থন তৃণমূলের পালে হাওয়া যুগিয়েছিল। গোড়ার দিকের ওই পর্বে কপিলের অবশ্য পরিচিতি ছিল বাম ঘনিষ্ঠ হিসেবেই। বাম জমানার শেষ দিকে তত্‌কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাত থেকে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামাঙ্কিত পুরস্কার পেয়েছিলেন এই কপিলই। পরিবর্তনের পরে গোটা পরিবারই তৃণমূল ঘনিষ্ট হয়ে ওঠে। কপিলের মৃত্যুতে বনগাঁর ওই আসনে উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তথা মতুয়া রাজনীতির রাশ রাখা নিয়ে নতুন করে টানাপড়েন শুরু হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

কপিলের মৃত্যু সংবাদ আসতেই ঠাকুরনগরে মতুয়াদের মন্দিরে ভিড় করেছেন ভক্তরা। তিনি মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি ছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “তাঁর মৃত্যুতে মতুয়া মহাসঙ্ঘ এবং তৃণমূলের অপূরণীয় ক্ষতি হল।” অসুস্থ বীণাপানিদেবী পুত্রের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement