সংসদ ভবন চত্বরে ভয়াবহ আগুন

সংসদ ভবন চত্বরে রবিবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এ দিন ছুটির দিন হওয়ায় সংসদ ভবন চত্বর ফাঁকাই ছিল। তবে সংসদের কাজের দিনে এই ঘটনা ঘটলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে মনে করছেন দমকলকর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৫ ১৫:০৭
Share:

সংসদ ভবন চত্বরে আগুন। রবিবার পিটিআইয়ের তোলা ছবি।

সংসদ ভবন চত্বরে রবিবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

এ দিন ছুটির দিন হওয়ায় সংসদ ভবন চত্বর ফাঁকাই ছিল। তবে সংসদের কাজের দিনে এই ঘটনা ঘটলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে মনে করছেন দমকলকর্মীরা।

দমকল সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ সংসদ ভবনের এসি প্ল্যান্টে আগুন লাগে। ভবনের সামনের গেট দিয়ে ঢুকে ডান দিকে সিআরপিএফ ক্যান্টিন রয়েছে। সেই ক্যান্টিনের পিছনে এসি প্ল্যান্ট থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে দমকলে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে দমকলকর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

Advertisement

সংসদ ভবন চত্বরে সব সময়ই দমকলের একটি ইঞ্জিন এবং অ্যাম্বুল্যান্স থাকে। সূত্রের খবর, প্রথমে ওই ইঞ্জিনের সাহায্যেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়।

দিল্লি দমকলের ডিরেক্টর এ কে শর্মা বলেন, “এ দিন দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ আগুন লাগে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।” তিনি আরও বলেন, “এসি প্ল্যান্টে সংস্কারের কাজ চলছিল। সেখানে থেকেই কোনও ভাবে আগুন লেগেছে কি না খতিয়ে হচ্ছে। কারও কোনও গাফিলতি ছিল কি না তদন্তের পরেই জানা যাবে ।”

সংসদ ভবন চত্বরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংসদেরা। সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অধিবেশনের সময় আগুন লাগলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত।” আগুন লাগার প্রকৃত কারণ তদন্ত করে দেখা উচিত বলে মত কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement