—নিজস্ব চিত্র।
উন্নয়নের প্রশ্নে মোদী সরকারকে ফের আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সরকারের অসহযোগিতার ফলেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। মঙ্গলবার দুপুরে দিঘার প্রবেশপথে ওয়েলকাম গেট-সহ একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। নিউ দিঘার পুলিশ হলিডে হোমের মাঠের প্রশাসনিক সভা থেকে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, কেন্দ্রকে বিঁধলেও এ দিন সেই আক্রমণের ঝাঁঝ যথেষ্টই কম ছিল। সোমবার ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ের জনসভায় যে ভাষায় বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছিলেন, তা থেকে এ দিন অনেকটাই নমনীয় ছিলেন তিনি।
এ দিনের সভায় রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একশো দিনের কাজে রাজ্যের শীর্ষস্থানে থাকার কথা ফের জানিয়ে মমতার দাবি, ক্ষুদ্র শিল্পেও দেশের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে রাজ্য। তবে কেন্দ্রের সহযোগিতা মিললে যে রাজ্যের আরও উন্নয়ন করা যেত, তা-ও উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি। দিঘায় পর্যটন শিল্পের প্রসারে রাজ্যের উদ্যোগের কথার পাশাপাশি মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভের মতো দিঘার সমুদ্রতট ঘিরে উন্নয়ন প্রকল্পের কথা বলেন তিনি। দিঘার নাগরিকদের কাছে ‘শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন’ রাখার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গকে জুড়তে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সমান্তরাল আর একটি সড়ক তৈরির কথা এ দিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সড়ক দক্ষিণবঙ্গের মেচোগ্রাম থেকে হগলির আরামবাগ হয়ে উত্তরবঙ্গকে জুড়বে বলে জানা গিয়েছে। তবে ওই রাস্তা কোন এলাকা দিয়ে তৈরি হবে, তা এ দিন স্পষ্ট করেননি মমতা। এ ছাড়া, হকারদের পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজও করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এর আগেও দিঘার হকারদের পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। ফলে এ দিনের ঘোষণায় এই প্রকল্পের আওতায় ঠিক কোন এলাকার হকারেরা সুবিধা পাবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তিনটি মাল্টি সুপার হাসপাতাল গড়া ছাড়াও হলদিয়ায় মহিলা কলেজ, বন্যা নিয়ন্ত্রণে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান-সহ বিভিন্ন প্রকল্প আগামী বছরের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মমতা। তাঁর আরও দাবি, ইতিমধ্যেই জেলায় ন’টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।