যুদ্ধ প্রস্তুতি। হুদহুদ মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা। ছবি: পিটিআই।
ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে স্থলভূমির দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১২ ঘণ্টায় শক্তি বাড়িয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়ে রবিবার অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে সেটি। সে ক্ষেত্রে পিলিনের পর এই এলাকায় আছড়ে পড়া ঝড়গুলির মধ্যে এটিই হবে সবচেয়ে শক্তিশালী। পিলিনের জেরে গত বছর ২১০-২২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হয়েছিল ওড়িশার গোপালপুরে। এ ক্ষেত্রে ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০-১৫০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। ১৩ অক্টোবর হওয়া সেই ঝড়ে গোপালপুরের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বিশাখাপত্তনমও।
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূল জুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই অঞ্চলগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যসচিব ওয়াই আর কৃষ্ণ। তিনি জানিয়েছেন, “আগে থেকে বেশ কিছু আশ্রয় শিবির খুলতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” ওই এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের যে কোনও সময়ে সরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেনে তিনি। হুদহুদ মোকাবিলায় বায়ুসেনার সাহায্য চেয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। এ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। গত বছর পিলিনের সময়ে বায়ুসেনার ভূমিকার প্রশংসা করে এ বারেও তাঁদের প্রস্তুত রাখতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন তিনি। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দুই রাজ্য-সহ পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র পাঁচ হাজার কর্মীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন বাহিনীর প্রধান অজিত শেঠ। তৈরি রাখা হয়েছে ১৬২টি নৌকা। তবে ঝড়ের জন্য ওড়িশার কন্ধমলের উপ নির্বাচন পিছনো হচ্ছে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজেডি সাংসদের মৃত্যুর পর ফাঁকা হয় কন্ধমল আসনটি।