ড্রাগ পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ ভারতীয় মত্স্যজীবীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল কলম্বোর হাইকোর্ট। ২০১১-এ হেরোইন পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া তামিলনাড়ুর পাঁচ মত্স্যজীবী এবং শ্রীলঙ্কার তিন মত্স্যজীবীকে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি প্রীতি পদ্মান সুরসেনা। এই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার কথা জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। ভারতের বক্তব্য, এই মত্স্যজীবীরা নিরাপরাধ। তাঁদের অন্যায় ভাবে আটক করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, ২০১১ সালে অবৈধ ভাবে শ্রীলঙ্কার জলসীমায় ঢুকে হেরোইন পাচারের অভিযোগে তামিলনাড়ু পাঁচ মত্স্যজীবীকে গ্রেফতার করে নৌসেনা ও শ্রীলঙ্কার পুলিশ। শ্রীলঙ্কার পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চক্রে আট জন মত্স্যজীবী ছিলেন যাঁদের মধ্যে পাঁচ জন ভারতীয় ও বাকি তিন জন শ্রীলঙ্কার অধিবাসী। শ্রীলঙ্কার উত্তর উপকূলে জাফনা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এর পর চার বছর ধরে এই মামলা চলে।
এ দিন রায়ের পরে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরুদ্দিন বলেন, “কলম্বোয় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশন খুব তাড়াতাড়ি এই রায়ের বিরুদ্ধে কলম্বোর সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানাবে। ভারতীয় মত্স্যজীবীদের জন্য আইনজীবীও ঠিক করা হয়ে গিয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই মামলায় যথাযথ পদক্ষেপ করবে ভারত।
এই রায়ের পরেই মত্স্যজীবীদের ছাড়িয়ে আনার জন্য কেন্দ্রের উপর চাপ দিতে শুরু করেছে এআইডিএমকে এবং ডিএমকে। ডিএমকে মুখপাত্র টি কে এস এলানগোভান জানান, কেন্দ্রের অনেক আগেই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল। রাজ্যের মত্স্যজীবীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়ে দলীয় প্রধান করুণানিধির সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। পিএমকে প্রধান অম্বুমণি রামডস বলেন, “ভারতীয় মত্স্যজীবীদের গ্রেফতার ও তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়ে ভারতকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ভারতের মতো সমান শক্তিশালী অন্য কোনও রাষ্ট্র হলে এই রায়ের যোগ্য জবাব দিত।” এমডিএমকে প্রধান ভাইকো জানিয়েছেন, যদিও ভারতীয় ধীবরেরা আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করেছিল কিন্তু এই ড্রাগ পাচারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তামিলনাড়ু আঞ্চলিক দলগুলি ছাড়াও এই রায়ের পরে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি।