—ফাইল চিত্র।
খনি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানোয় ওই মামলা থেকে আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সিবিআই ডিরেক্টর রঞ্জিত্ সিনহাকে। আর এ বার ২জি দুর্নীতি মামলার তদন্ত থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। রঞ্জিত্ সিনহার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২ ডিসেম্বর। অবসরের মাত্র ১২ দিন আগে শীর্ষ আদালতের এই রায়ে রঞ্জিত সিনহার সঙ্গে অস্বস্তিতে পড়ল কেন্দ্রও।
২জি মামলায় জড়িত বিভিন্ন ব্যাক্তির সঙ্গে বহু বার বৈঠক করা-সহ তদন্ত প্রক্রিয়াকে বার বার প্রভাবিত করার অভিযোগে রঞ্জিত্ সিনহার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে এই মামলা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আবেদনে বলা হয়, ২জি কাণ্ডে জড়িতদের আড়াল করতে চাইছেন সিবিআই ডিরেক্টর। মামলা চলাকালীন রঞ্জিত্ সিনহা দাবি করেন, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। আদালত চাইলে এই মামলা থেকে সরে যেতে তিনি প্রস্তুত। সিবিআইয়ের এক অফিসারের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগও আনেন তিনি। ডিআইজি পদমর্যাদার ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বুধবার আদালতে আবেদন করেন তিনি। রঞ্জিতের এই আবেদনে কান না দিয়ে এ দিন তাঁকেই মামলা থেকে সরিয়ে দিল আদালত। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অভিযোগে সারবত্তা আছে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “সব কিছু অবশ্যই ঠিক নেই। প্রাথমিক ভাবে আমাদের মনে হচ্ছে, অভিযোগের সত্যতা আছে।” এর পরই তাঁকে এই মামলা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তকারী দলে সিনহার ঠিক পরের গুরুত্বপূর্ণ অফিসারকে মামলার দায়িত্ব নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ দিন দু’পক্ষের আইনজীবীদের তীব্র বাদানুবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত কক্ষ। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে বার বার হস্তক্ষেপ করতে হয় প্রধান বিচারপতিকে। শুনানি চলাকালীন আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েক জন সিবিআই অফিসার। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, আদালতের কোনও বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে তার উত্তর দিতেই উপস্থিত রয়েছেন তাঁরা। তীব্র ভর্ত্সনা করে তাঁদের আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। মামলা থেকে রঞ্জিত্ সিনহাকে সরিয়ে দিলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দীর্ঘ দিনের সুনামের কথা বিবেচনা করে পূর্ণাঙ্গ রায় দিতে অস্বীকার করেছেন বিচারপতিরা।