প্রার্থী তালিকা নিয়ে ধুন্ধুমার, পদত্যাগ বিজেপির দুধকুমারের

কর্মী বিক্ষোভ এবং দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের জেরে সিউড়ি এবং সাঁইথিয়া পুরসভার প্রার্থী তালিকা রবিবার প্রকাশ করতে পারলেন না বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। দলের বীরভূম জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলকে নিয়ে বিজেপির অন্দরে জটিলতা ছিলই। এ দিনের বিক্ষোভ তাতে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে। যার পরিণতিতে পদত্যাগ করেছেন দুধকুমারবাবু। কলকাতায় দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ অবশ্য বলেছেন, “আমি এখনও কোনও পদত্যাগপত্র পাইনি। পেলে অবশ্যই বিবেচনা করব।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বীরভূম শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৫ ১৯:২৫
Share:

দুধকুমার মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।

কর্মী বিক্ষোভ এবং দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের জেরে সিউড়ি এবং সাঁইথিয়া পুরসভার প্রার্থী তালিকা রবিবার প্রকাশ করতে পারলেন না বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। দলের বীরভূম জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলকে নিয়ে বিজেপির অন্দরে জটিলতা ছিলই। এ দিনের বিক্ষোভ তাতে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে। যার পরিণতিতে পদত্যাগ করেছেন দুধকুমারবাবু। কলকাতায় দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ অবশ্য বলেছেন, “আমি এখনও কোনও পদত্যাগপত্র পাইনি। পেলে অবশ্যই বিবেচনা করব।”

Advertisement

এ দিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার আগে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বীরভূমের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা রামকৃষ্ণ পাল এবং জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য সুকুমার দাস। বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন প্রার্থী বিষয়ে উত্সুক বিজেপি কর্মীরা। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি নির্মল মণ্ডল ওই বৈঠকে অংশ নিতে চাইলে জটিলতা তৈরি হয়। কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পড়ে স্লোগান সহযোগে চেয়ার-টেবিল উল্টে দেন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে দেখে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা স্থগিত রেখে রামকৃষ্ণবাবু বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেন, “একই আসনের জন্য একাধিক নাম এসেছে। কিন্তু প্রার্থী তো হবেন এক জনই। সেক্ষেত্রে যাঁরা প্রার্থী হতে পারলেন না, তাঁদের ক্ষোভ থাকতে পারে। প্রার্থী বাছাই নিয়ে অনেকের ভিন্ন মত থাকতে পারে। কিন্তু এখনও তো প্রার্থী তালিকা ঘোষণাই হয়নি! এখনই কারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জানি না।” রামকৃষ্ণবাবুকে রামপুরহাটের বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়। শনিবার রামপুরহাটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। তা নিয়েও দলের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। সেই ক্ষোভ জানাতে রামপুরহাটের কর্মীরা এ দিন সিউড়িতে রামকৃষ্ণবাবুর মুখোমুখি হন। রামপুরহাটের দলীয় পর্যবেক্ষক সত্যেন দাসের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন তাঁরা। বেগতিক দেখে সিউড়ির বিজেপি নেতা দীপক দাস ও কালোসোনা মণ্ডলেরা রামকৃষ্ণবাবুকে গাড়িতে তুলে দেন।

বিজেপি সূত্রের খবর, প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভের মূল উত্স আদি ও নব্যের দ্বন্দ্ব। বিজেপির আদি কর্মীদের অভিযোগ তাঁদের বদলে নতুন যাঁরা তৃণমূল বা অন্য দল থেকে এসেছেন, প্রার্থী তালিকায় তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কাউন্সিলর দীপকবাবু কিছু দিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি-সহ আরও কয়েকজন নবাগত সম্পর্কে আদি বিজেপি কর্মীদের বিরূপ মনোভাব রয়েছে। জেলা সভাপতি দুধকুমারবাবু যে ফ্যাক্স মারফত নিজের পদত্যাগপত্র রাজ্য সভাপতির কাছে পাঠিয়েছেন, তারও কারণ দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব।কর্মী বিক্ষোভ এবং দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের জেরে সিউড়ি এবং সাঁইথিয়া পুরসভার প্রার্থী তালিকা রবিবার প্রকাশ করতে পারলেন না বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। বিক্ষোভের জেরে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল পদত্যাগও করেছেন। কলকাতায় দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ অবশ্য বলেছেন, “আমি এখনও কোনও পদত্যাগপত্র পাইনি। পেলে অবশ্যই বিবেচনা করব।”

Advertisement

এ দিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার আগে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বীরভূমের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা রামকৃষ্ণ পাল এবং জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য সুকুমার দাস। বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন প্রার্থী বিষয়ে উত্সুক বিজেপি কর্মীরা। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি নির্মল মণ্ডল ওই বৈঠকে অংশ নিতে চাইলে জটিলতা তৈরি হয়। কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পড়ে স্লোগান সহযোগে চেয়ার-টেবিল উল্টে দেন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে দেখে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা স্থগিত রেখে রামকৃষ্ণবাবু বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেন, “একই আসনের জন্য একাধিক নাম এসেছে। কিন্তু প্রার্থী তো হবেন এক জনই। সেক্ষেত্রে যাঁরা প্রার্থী হতে পারলেন না, তাঁদের ক্ষোভ থাকতে পারে। প্রার্থী বাছাই নিয়ে অনেকের ভিন্ন মত থাকতে পারে। কিন্তু এখনও তো প্রার্থী তালিকা ঘোষণাই হয়নি! এখনই কারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জানি না।” রামকৃষ্ণবাবুকে রামপুরহাটের বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়। শনিবার রামপুরহাটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। তা নিয়েও দলের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। সেই ক্ষোভ জানাতে রামপুরহাটের কর্মীরা এ দিন সিউড়িতে রামকৃষ্ণবাবুর মুখোমুখি হন। রামপুরহাটের দলীয় পর্যবেক্ষক সত্যেন দাসের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন তাঁরা। বেগতিক দেখে সিউড়ির বিজেপি নেতা দীপক দাস ও কালোসোনা মণ্ডলেরা রামকৃষ্ণবাবুকে গাড়িতে তুলে দেন।

বিজেপি সূত্রের খবর, প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভের মূল উত্স আদি ও নব্যের দ্বন্দ্ব। বিজেপির আদি কর্মীদের অভিযোগ তাঁদের বদলে নতুন যাঁরা তৃণমূল বা অন্য দল থেকে এসেছেন, প্রার্থী তালিকায় তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কাউন্সিলর দীপকবাবু কিছু দিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি-সহ আরও কয়েকজন নবাগত সম্পর্কে আদি বিজেপি কর্মীদের বিরূপ মনোভাব রয়েছে। জেলা সভাপতি দুধকুমারবাবু যে ফ্যাক্স মারফত নিজের পদত্যাগপত্র রাজ্য সভাপতির কাছে পাঠিয়েছেন, তারও কারণ দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement