প্রতীকী ছবি।
মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ রবিবার করলে মিলবে অতিরিক্ত ছুটি। সম্প্রতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। চলতি বছর পরীক্ষা শেষ হয়েছে ২২ ফেব্রুয়ারি। চলতি বছর অন্যান্য দিনের সঙ্গে তিনটি রবিবার অর্থাৎ ২, ৯ এবং ১৬ মার্চ পরীক্ষার খাতা জমা দেওয়ার তারিখ পড়েছে। যদি কোনও পরীক্ষক ওই দিনগুলিতে খাতা জমা দেওয়ার কাজ করেন, তার বদলে তিনি সপ্তাহে অন্য কোনও কাজের দিনে ছুটি নিতে পারবেন। তবে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষককে কাজ করার যথাযথ প্রমাণ জমা দিতে হবে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে আমরা সমর্থন জানাই। কিন্ত আমাদের প্রশ্ন, প্রতি বছরই তো এ রকম পরিস্থিতি হয়। তা হলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ‘স্ট্যান্ডিং অর্ডার’ দিচ্ছে না কেন? তা হলে প্রতি বছর আর এই সমস্যা হয় না।’’
প্রসঙ্গত, গত বছর থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দেখানো পথে এগিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই সময়ে নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, মাধ্যমিকের খাতা দেখার জন্য সরকারি ছুটির দিনগুলিতেও আধিকারিকদের কাজ করতে হবে। তবে, ওই দিনগুলিতে কাজ করার বদলে তাঁরা অন্য যে কোনও দিন ছুটি নিতে পারবেন। এ বার সরকারি ছুটির দিনের সঙ্গে রবিবারকেও যুক্ত করা হল।
উল্লেখ্য, এক দশকের কাছাকাছি সময়কালে এই প্রথম কোনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। শেষ কিছু বছরে দেখা গিয়েছে, হয় পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে, না হলে পরীক্ষার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মোবাইলে ছবি তুলে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনাও ঘটেছে। কখনও খাতা ছিঁড়ে ফেলা, কখনও আবার মোবাইল নিয়ে ধরা পড়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। শেষ দিনে মোবাইল-সহ ধরা পড়েছে তিন জন পরীক্ষার্থী। আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলার ওই পড়ুয়াদের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। চলতি বছরে মোট ২০ জনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়ছে। এরা সকলেই পরীক্ষার হলে মোবাইল ব্যবহার করছিল। তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তবে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া চলতি বছরে নির্বিঘ্নেই মিটল মাধ্যমিক।