DRDO Examination

ডিআরডিও পরীক্ষার জন্য কী পড়বেন, কী রকমই বা হবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র?

ডিআরডিও টেকনিশিয়ান ‘এ’ ও টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ‘বি’ পদে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। এই পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হয়। এই পদের জন্য দু'টি স্তরে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:৪৭
Share:

ডিআরডিও সংগৃহীত ছবি

ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)-এ টেকনিশিয়ান ‘এ’ ও টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ‘বি’ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে আর কিছু দিনের মধ্যেই। ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে। পরীক্ষা কী ভাবে হয়, কী ভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন বা এই পরীক্ষার জন্য কী কী বিষয় পড়বেন, তা নিয়ে কি খুব চিন্তিত আপনি? চিন্তার কোনও কারণ নেই, এই প্রতিবেদনে সব কিছুর খোঁজ পেয়ে যাবেন।

Advertisement

এই পরীক্ষার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকে ডিআরডিও-র সেন্টার ফর পার্সোনাল ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট। এই পরীক্ষাটি বছরে এক বার অনুষ্ঠিত হয়। এর আবেদন প্রক্রিয়া ও পরীক্ষা দু’টিই অনলাইনে হয়। পরীক্ষায় উত্তর ভুল হলেও কোনও নেগেটিভ মার্কিং থাকে না। এই পরীক্ষাটি হিন্দি ও ইংলিশ— দুই ভাষাতেই দেওয়া যায়। মূলত দু’টি স্তরে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়— ‘স্তর ১’ ও ‘স্তর ২’। লিখিত পরীক্ষাগুলিতে অবজেক্টিভ প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। যাঁরা এই দু’টি স্তর সম্পূর্ণ করতে পারেন ও নির্দিষ্ট কাট অব মার্কস পান, তাঁদেরকেই ওই পদের জন্য নিয়োগ করা হয়।

এই বছর অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়ার শুরু ও শেষের দিন ঘোষণা হলেও এখনও পরীক্ষার দিন ঘোষিত হয়নি।

Advertisement

পরীক্ষার সিলেবাস/পাঠ্যসূচি ও নির্ধারিত নম্বর:

সিনিয়র টেকনিকাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ‘বি’-এর জন্য প্রথম স্তরে কোয়ান্টিটেটিভ অ্যাপটিটিউড, সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও রিজনিং, সাধারণ জ্ঞান, ইংলিশের মৌলিক জ্ঞান ও সাধারণ বিজ্ঞানের উপর কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। যে সব পরীক্ষার্থী প্রথম স্তর পাশ করেন, তাঁদের দ্বিতীয় স্তরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর দ্বারা পরীক্ষার্থীদের ওই বিষয়ে বাস্তব জ্ঞানের পরীক্ষা নেওয়া হয়।

‘স্তর ১’ প্রথম স্তরের পরীক্ষার জন্য বিস্তারিত সিলেবাস:

১. ইংলিশ— সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, ক্রিয়া, ক্রিয়াকাল, ব্যাকরণ, কমপ্রিহেনশন, ভোকাবুলারি, বাগ্‌ধারা, বাক্যাংশ ইত্যাদি।

২. সাধারণ জ্ঞান— ভারতের সংবিধান, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ভারতের জাতীয় আন্দোলন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ইতিহাস, ভূগোল, প্রশাসনিক ব্যবস্থা ইত্যাদি।

৩.সাধারণ বুদ্ধিমত্তা— রক্তের সম্পর্ক, সাদৃশ্য, দিক-নির্ধারণ, রিজনিং, সংখ্যার সিরিজ, কোডিং-ডিকোডিং, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইত্যাদি।

৪. অঙ্ক— সময় ও কাজ, সময় ও দূরত্ব, লসাগু-গসাগু, শতাংশ, লাভ-ক্ষতি, সুদ, অনুপাত ইত্যাদি।

‘স্তর ১’-এর পরীক্ষায় ১২০ নম্বর থাকে এবং পরীক্ষার সময় ৯০ মিনিট। ‘স্তর ২’-এর পরীক্ষায় থাকে ১০০ নম্বর এবং পরীক্ষার সময় থাকে ৯০ মিনিট।

একই ভাবে টেকনিশিয়ান ‘এ’ পদের জন্য ‘স্তর ১’ ও ‘স্তর ২’-এর দু’টি পরীক্ষা হয়। ‘স্তর ১’-এ দু’টি বিভাগে পরীক্ষা হয়। প্রথম বিভাগে সিলেবাসে থাকে কোয়ান্টিটেটিভ অ্যাপটিটিউড, সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও রিজনিং, সাধারণ জ্ঞান, ইংলিশের মৌলিক জ্ঞান ও সাধারণ বিজ্ঞানের মতো বিষয়। দ্বিতীয় বিভাগে থাকে ট্রেড বা যে পোস্টে আবেদন করেছেন, তার বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা। দু’টি বিভাগে যথাক্রমে ৪০ ও ৮০ নম্বরে পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার সময় থাকে ৯০ মিনিট। ‘স্তর ২’-এ ট্রেড বা বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। সাধারণত আইটিআই স্তরের পরীক্ষা নেওয়া হয়, যার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের বিষয়ের উপর বাস্তব জ্ঞানের পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার দ্বারাই নির্ধারিত হয় কোন কোন প্রার্থীর নিয়োগ হবে। পরীক্ষাটি সাধারণত এক থেকে দু’ঘণ্টা পর্যন্ত চলে।

এই পদের ‘স্তর ১’-এর সিলেবাস:

১. কোয়ান্টিটেটিভ অ্যাপটিটিউড— সাদৃশ্য ও পার্থক্য, সমস্যার সমাধান, বিশ্লেষণ, রক্তের সম্পর্ক, রিজনিং, সংখ্যার সিরিজ, কোডিং-ডিকোডিং, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইত্যাদি।

২. অঙ্ক— সময় ও কাজ, সময় ও দূরত্ব, লসাগু-গসাগু, ভেন ডায়াগ্রাম, শতাংশ, লাভ-ক্ষতি, সুদ, অনুপাত ইত্যাদি।

৩. সাধারণ জ্ঞান— জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, অর্থনৈতিক খবর, বাজেট, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, খেলাধুলো, বই ও লেখক, পুরস্কার ও সম্মান, বিজ্ঞান ইত্যাদি।

৪. ইংলিশ এ — সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, ক্রিয়া, বাক্যের ভুল, বাক্য শুধরানো, শূন্যস্থান পূরণ, বাক্য বা শব্দ সাজানো ইত্যাদি।

বাছাই পদ্ধতি:

‘স্তর ১’-এর লেখা পরীক্ষা, ‘স্তর ২’-এর লেখা পরীক্ষা, নথি যাচাই ও মেডিক্যাল পরীক্ষার দ্বারা এই পদগুলিতে প্রার্থী নিয়োগ করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement