প্রতীকী চিত্র।
চলতি বছরের মে মাসে ডাক্তারির স্নাতকে ভর্তির প্রবেশিকা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট আন্ডারগ্র্যাজুয়েট (নিট ইউজি)-এর আয়োজন করা হয়। জুন মাসে ঘোষণা করা হয় ফলাফল। এর পর গত ১৪ জুলাই নিট ইউজি-র সর্বভারতীয় কোটার জন্য কাউন্সেলিংয়ের দিন ক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যস্তরের কোটায় ভর্তির জন্য কাউন্সেলিংয়ের সময়সূচিও ঘোষণা করা হল। রাজ্য স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সেলিং কমিটি (ডব্লিউবিএমসিসি) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।
রাজ্যস্তরে ৮৫ শতাংশ কোটার আসনের জন্য এই কাউন্সেলিংয়ের আয়োজন করা হবে। মোট চারটি রাউন্ডে কাউন্সেলিং সম্পন্ন হবে। এ সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত বুলেটিনও শুক্রবার ডব্লিউবিএমসিসি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। আগামী ২৫ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া।
কাউন্সেলিংয়ের প্রথম রাউন্ডের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ২৫ জুলাই সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে। চলবে ২৮ জুলাই বিকেল ৪টে পর্যন্ত। রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমা দেওয়া যাবে ২৫ জুলাই সকাল ১১টা থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। নথি যাচাইকরণ প্রক্রিয়া চলবে ২৭, ২৮ এবং ৩১ জুলাই সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। প্রথম রাউন্ডের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা এবং ‘সিট ম্যাট্রিক্স’ বা আসনসংখ্যার বিন্যাস ১ অগস্ট রাত ১২টার পর। পড়ুয়ারা অনলাইনে নিজেদের পছন্দ বাছাই (চয়েস ফিলিং) এবং নিজেদের পছন্দ নিশ্চিত করা (চয়েস লকিং)-র সুবিধা পাবেন ১ অগস্ট বিকেল ৪টে থেকে ২ অগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। এর পর ৫ অগস্ট বিকেল ৪টের পর ফলাফল প্রকাশ করা হবে। প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ প্রতিষ্ঠানগুলিতে এর পর তাঁদের ভর্তির জন্য উপস্থিত হতে হবে ৭, ৮ এবং ৯ অগস্ট সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে।
দ্বিতীয় রাউন্ডের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৪ অগস্ট। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর। এর পর তৃতীয় রাউন্ড এবং ‘স্ট্রে ভ্যাকেন্সি’ রাউন্ডের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া চলবে যথাক্রমে ৫ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর এবং ১৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
প্রতি বছরই এমসিসি নিট ইউজি কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্নাতকের সর্বভারতীয় কোটার ১৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ করে। বাকি ৮৫ শতাংশ কোটার আসন বরাদ্দ করা হয় বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরফে।
চলতি বছরে ৭ মে নিট ইউজি-র আয়োজন করা হয়। যার ফল প্রকাশিত হয় গত ১৩ জুন। মোট ২০ লক্ষ ৩৮ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ লক্ষ ৪৫ হাজার পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হন পরীক্ষায়।