বছর চারেকের এক শিশুর দেহ উদ্ধার হাওড়ার ডোমজুড়ে। —প্রতীকী চিত্র।
হাওড়ার ডোমজুড়ে শিশু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক নাবালক। খেলার বল নিয়ে বিবাদের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিখোঁজ থাকার পর দুপুরে বাড়ির অদূরে ঝোপঝাড় থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় বছর চারেকের শেখ আয়ুষের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তারই পরনের জামা পেঁচানো ছিল গলায়। দেহের পিছনের অংশে পোড়া দাগও ছিল। ডোমজুড়ের সলপের ডাঁসি দাসপাড়ায় মদিনা মসজিদের কাছে এই ঘটনার তদন্তে নেমে এক নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে আয়ুষকে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছিল। ওই ফুটেজে ধৃত নাবালকেও হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছিল আয়ুষের পিছু পিছু। এর পরেই ওই নাবালককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ভেঙে পড়ে। অপরাধের কথা কবুল করে জানায়, সে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। ওই এলাকায় দর্জির কাজ শিখতে এসেছিল। পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘সামান্য কারণে খুন বলে মনে হচ্ছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই নাবালককে। তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পেশ করা হবে।’’
আয়ুষের পরিবার এবং পড়শিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, আয়ুষ স্থানীয় একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ত। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ির লোকেরা দেখেন, সে ঘরে নেই। আশপাশের বাড়ি, রাস্তাঘাটে তন্নতন্ন করে খুঁজেও হদিস মেলেনি। প্রতিবেশীরাও বাচ্চাটিকে খুঁজতে শুরু করেন। জাল ফেলে পাশের পুকুরেও খোঁজ চলে। স্থানীয় মসজিদ থেকে ঘোষণা করা হয়। এর পর বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে মেরেকেটে ৫০ মিটার দূরে ঝোপে শিশুটিকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশী রবিউল হাজি।
রবিউল বলেন, ‘‘কাছে গিয়ে দেখি, হাত পিছন দিকে বাঁধা, মুখে ক্ষতচিহ্ন। পিঠ ও হাতের কিছু অংশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি আয়ুষের বাড়িতে এবং পাড়া-পড়শিদের খবর দেন। ডোমজুড় থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।