প্রতীকী চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিকের বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষার নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষকদের দরাজ হওয়ার বার্তা দিল শিক্ষা সংসদ। এ বছরই পুরনো সিলেবাসের শেষ পরীক্ষা। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন সিলেবাস মেনে সিমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।
মঙ্গলবার শেষ হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এ বছর পরীক্ষার শেষ দিনে পরীক্ষক এবং সমীক্ষকদের জন্য একগুচ্ছ নিয়ামবলি প্রকাশ করেছে শিক্ষা সংসদ। সেখানে উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ‘কেজিং’-এ নম্বর তোলা, ‘লুজ় শিট’-এ গরমিল বিষয়ে প্রধানশিক্ষকদের অবহিত করা, স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ের ক্ষেত্রে সাবধানতা-সহ একাধিক বিষয়ে নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, উল্লেখ করা হয়েছে, সমস্ত বিষয়ের খাতা দেখার ক্ষেত্রে পরীক্ষকদের রক্ষণশীল হলে চলবে না। পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের উদার মনোভাব রাখতে হবে। পরীক্ষার্থীরা যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর যথাযথ ভাবে দিতে পেরেছে, সে ক্ষেত্রে তাদের পূর্ণমান বা ‘ফুল মার্কস’ দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি বছরে ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নে বেশ কিছু ভুলভ্রান্তির অভিযোগ উঠেছে। ‘তাজমহল’-এর বানান ভুল থেকে ‘গ্রামার’-এর ‘ফিগার অফ স্পিচ’-সহ বেশ কিছু প্রশ্নে রয়েছে বিভ্রান্তি। সে সব প্রশ্নের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের পূর্ণ নম্বর দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছে শিক্ষা সংসদ।
উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নপত্রে ‘ফিগার অফ স্পিচ’ থেকে প্রশ্ন আসে। কিন্তু এই ‘টপিক’টি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ইংরেজি-তে পড়ানো হয় না। অর্থাৎ প্রশ্নটি সিলেবাস বহির্ভূত। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা যে কোনও উত্তর দিলেই পুরো নম্বর দিতে হবে পরীক্ষকদের। অন্য একটি প্রশ্নে ‘তাজমহল’-কে ‘তাজমজল’ লেখা হয়, সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেও পরীক্ষার্থীদের পুরো নম্বর দিতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা সংসদ। এ ছাড়া, ‘গ্রামার’-এর অংশে শিক্ষা সংসদের তরফে যে উত্তরগুলি সঠিক বলে উল্লেখ করে পরীক্ষক বা নিরীক্ষকদের পাঠানো হয়েছে, তার বাইরেও যদি কোনও উত্তর সঠিক মনে করেন তাঁরা, সে ক্ষেত্রেও পরীক্ষার্থীদের পুরো নম্বর দিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “এ বছর যে হেতু পুরনো সিলেবাসে শেষ পরীক্ষা তাই কাউন্সিল হয়তো একটু উদার হয়ে খাতা দেখতে বলেছে। কিন্তু বেশ কিছু প্রশ্নে ভুল থেকে গেছে, বিশেষ করে ইংরেজি-র ক্ষেত্রে। কিছু প্রশ্নের উত্তর আবার একাধিক হবে। আমাদের জিজ্ঞাসা, এই ধরনের প্রশ্ন কেন দেওয়া হবে, যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবে।”