Pahalgam Terror Attack

পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ! যাত্রীদের স্বার্থে বিমান সংস্থাগুলিকে কয়েক দফা পরামর্শ দিল ডিজিসিএ

দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের যে কোনও শহর থেকে পশ্চিমের কোনও দেশে যেতে পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করা হয়। ওই পথে আন্তর্জাতিক বিমান চালায় এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং স্পাইসজেটের মতো সংস্থা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ২১:৩৭
Share:
DGCA issues several advisory to airlines in the interest of passengers due to closure of Pakistan\\\\\\\'s airspace

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি কড়া পদক্ষেপ করেছে ভারত। পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবে ভারতীয় বিমানসংস্থাগুলির জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে। পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ থাকার কারণে যাতায়াতে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় বিমানগুলির বেশি সময় লাগছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিমান সংস্থাগুলির জন্য কিছু পরামর্শ জারি করল বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। বলা হল, যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ এবং চিকিৎসার মতো জরুরি পরিষেবা প্রদান করবে হবে বিমান সংস্থাগুলিকে!

Advertisement

ডিজিসিএ জানিয়েছে, পরিবর্তিত রুট সম্পর্কে যাত্রীদের অবগত করতে হবে বিমান সংস্থাগুলিকে। এ ছাড়াও কতটা সময় বেশি লাগতে পারে তার ধারণাও দিতে হবে। একই সঙ্গে প্রযুক্তিগত কারণেও অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে, তা-ও যাত্রীদের জানিয়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি, যাত্রী সুরক্ষা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের কথাও মাথায় রাখতে হবে বিমান সংস্থাগুলিকে।

দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের যে কোনও শহর থেকে পশ্চিমের কোনও দেশে যেতে পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করা হয়। ওই পথে আন্তর্জাতিক বিমান চালায় এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং স্পাইসজেটের মতো সংস্থা। বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতে, যাত্রাপথ পরিবর্তন হওয়ায় তুলনামূলকও সময়ও বেড়ে যাচ্ছে। সেই কারণে জ্বালানি জন্যও মাঝে কোথাও নামতে হতে পারে বিমানগুলিকে। সেই সব কিছুই যাত্রীদের জানানোর কথা বলল ডিজিসিএ।

Advertisement

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের উপর দিয়ে না গেলে উত্তর ভারত থেকে পশ্চিমের দিকে বিমানগুলিকে যেতে হবে আরব সাগরের উপর দিয়ে। এটিই প্রধান বিকল্প পথ। এক সিনিয়র পাইলট সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, আমেরিকা এবং ইউরোপের বিমানগুলি বিকল্প পথ ধরলে গন্তব্যে পৌঁছোতে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বেশি সময় লাগবে। তবে বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন রকম বিকল্প পথ খুঁজে নিচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement