প্রতীকী ছবি
কবে পড়ুয়ারা হাতে বই পাবে, এ নিয়ে প্রশ্ন মাথায় রেখেই প্রকাশকদের সময়সীমা বেধে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। জানানো হল, একাদশ শ্রেণির প্রথম সিমেস্টার শুরু হওয়ার আগেই পড়ুয়াদের হাতে বই পৌঁছে দিতে তৎপর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিমেস্টার অনুযায়ী নয়া পাঠ্যক্রম ঘোষণা করা হল। আর তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছে, পরিবর্তিত পাঠ্যক্রমের নতুন বই কবে হাতে পাবে পড়ুয়ারা? এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে বৃহস্পতিবারই প্রকাশনা সংস্থার তিনটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষা সংসদ। এবং সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী এক মাস, অর্থাৎ ২২ এপ্রিলের মধ্যে নতুন বই পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিতে হবে।
এ বছর থেকেই প্রথম একাদশ শ্রেণি থেকে সিমেস্টার পদ্ধতিতে পঠন-পাঠন শুরু হচ্ছে, তাই শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে প্রথম সিমেস্টারের বই ছাপানোর ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “যে হেতু সিমেস্টার সিস্টেম চালু হচ্ছে, তাই আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাইছি। একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হওয়ার আগে প্রকাশকদের প্রথম সিমেস্টারের বই দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা ধার্য করে দেওয়া হয়েছে। তার পর প্রকাশকরা পরবর্তী বইগুলি ছাপানোর জন্য কিছুটা হলেও সময় পাবেন।”
এক দিকে যেমন ২২ এপ্রিলের মধ্যে প্রথম সিমেস্টারের বই দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তেমনই অন্য দিকে বইয়ের নকশা থেকে শুরু করে পাতার মান কেমন হবে এবং কী কী বিষয় প্রকাশকদের মাথায় রাখতে হবে, তার বিস্তারিত গাইডলাইনও একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন(সিবিএসই) ও কাউন্সিল ফর দি ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজ়ামিনেশন (সিআইএসসিই)-র ধাঁচে সুদৃশ্য ভাবেই শিক্ষা সংসদের বই ছাপানো হবে। এবং প্রত্যেকটি বইয়ের শেষ দু’টি পাতায় দু’টি মডেল প্রশ্নপত্রও দেওয়া থাকবে বলে শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে একাদশ শ্রেণির প্রথম সিমেস্টারের বইগুলিতে বিষয় অনুযায়ী কত পাতা থাকবে, তা-ও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গীয় শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “পরিবর্তন যখন অবশ্যম্ভাবী, তখন এই পুরো বিষয়টা আরও আগে করার প্রয়োজন ছিল। মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে, দু’টি ক্ষেত্রেই পড়ুয়ারাএকাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পঠন-পাঠন শুরু করতে পারছে না , নতুন বই হাতে না পাওয়ার জন্য। এগিয়ে থাকার সুযোগ থাকলেও পড়ুয়াদের সরকারি সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।”