সংগৃহীত চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিকের সিমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষার হলে আর ব্যবহার করা যাবে না ক্যালকুলেটর। ২০২৫ সালে শেষবার পুরনো সিলেবাসে উচ্চমাধ্যমিক। সেখানে শেষবারের মতো পরীক্ষার্থীরা ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা সংসদ।
সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “সর্বভারতীয় স্তরে যে সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হয় বা অন্যান্য বোর্ডের পরীক্ষা, কোথাওই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা হয় না। এ রাজ্যের পড়ুয়ারা যাতে সে ভাবেই তৈরি হয়, তাই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।”
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, ক্যালকুলেটর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনা হলেও সিমেস্টারের প্রশ্নপত্র এমন ভাবেই করা হবে যাতে তার প্রয়োজনও না হয়। বেশ কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে এমন কিছু মান হিসেব কষে বার করতে হয়, যা ক্যালকুলেটর ছাড়া সম্ভব নয়। সেই সব মান প্রশ্নপত্রেই উল্লেখ করা থাকবে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “পুরনো ব্যবস্থায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হল। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় দেওয়া হবে না। এটা কোন যুক্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, বোঝা গেল না। আমরা মনে করি প্রযুক্তির ব্যবহার করা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক এবং একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি মেনে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে দিক।”
বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের কাছে ক্যালকুলেটর অতি প্রয়োজনীয় একটা জিনিস। সে ক্ষেত্রে বিশেষত অঙ্কের ছাত্ররা সমস্যায় পড়বে বলে মনে করছে শিক্ষক মহলের একটি অংশ।
নারায়ন দাস বাঙুর স্কুলের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক প্রসেনজিৎ চৌধুরী বলেন, “ইতিমধ্যে সিমেস্টার পদ্ধতিতে যে পড়ুয়ারা ক্যালকুলেটর ব্যবহার করছে, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। যেহেতু প্রথম সিমেস্টার এমসিকিউ, তাই না-ও লাগতে পারে। তবে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে না দিলে প্রশ্নের ধরন পরিবর্তন করতে হবে।”
অঙ্কের ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সমস্যা বেশি হবে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। পার্ক ইনস্টিটিউশনের অঙ্কের শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, “অনেক সময়ে এমন কিছু মান বেরোয়, যা ক্যালকুলেটর ছাড়া হিসেব করা সম্ভব নয়। সবার আগে প্রশ্নের ধরন পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে ছাত্র-ছাত্রীরা খুব সমস্যায় পড়বে।”