প্রতীকী ছবি।
একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বসতে গেলে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই সার্টিফিকেট না থাকলে পরীক্ষায় বসতে পারবে না পড়ুয়ারা।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আর মাত্র দু’সপ্তাহ বাকি। আর তার সঙ্গে একই সময়ে চলবে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হয়নি, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। নজরে আসতেই এ বার নড়েচড়ে বসল সংসদ। এই ধরনের ঘটনার আর যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তাই কড়া পদক্ষেপ করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “৫ শতাংশের মতো স্কুল রয়েছে যাদের বেশ কিছু পড়ুয়া এখনও পর্যন্ত এই নিয়ম সঠিক ভাবে মানছে না। আগামী দিনে যাতে সকলে কঠোর ভাবে এই নিয়মকে পালন করে তাই এই সিদ্ধান্ত।”
সংসদ সূত্রের খবর, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার আগে উচ্চমাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ মতো স্কুল এই নিয়মকে সঠিক ভাবে মানছে না। বর্তমানে সংসদের সমস্ত কাজকর্ম অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার আগে নাম নথিভুক্তকরণের সময় দেখা গিয়েছে বহু পরীক্ষার্থী একাদশ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ না করেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে দ্বাদশ শ্রেণিতে। এমনকি, সংসদের নিয়ম অনুযায়ী একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার ফল সংসদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হয়, যা সঠিক সময়ে জমা দেওয়া হয়নি। এই জট কাটাতেই কড়া পদক্ষেপ সংসদের।
বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীনস্থ স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৭০০০। তার মধ্যে কিছু স্কুলের গাফিলতির জন্য নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের ও সংসদকে। সংসদের এক আধিকারিক জানান, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার নির্দিষ্ট সময়ে দেওয়া হয় সংসদের তরফ থেকে। তা-ও নিয়ম মেনে স্কুলগুলি তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন না। সংসদের প্রশ্ন, ২০২২ সালে যখন অনলাইন প্রক্রিয়া চালু ছিল না, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিনও রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ফিল-আপ করেছে বহু পরীক্ষার্থী। এখন সমস্তটাই অনলাইনের মাধ্যমে হচ্ছে। এই ধরনের সমস্যা আর বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্যের ৯৫% স্কুল যদি এই নিয়ম মানতে পারে তাহলে ৫% শতাংশ স্কুল কেন এই নিয়ম মানবে না?
তবে সংসদ সূত্রের খবর, এখনও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার আগে সময় রয়েছে হাতে, তার আগে যদি কোন পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন বাকি থাকে তা আবেদনের ভিত্তিতে করে দেওয়া হবে। তবে তার পরেও যদি কেউ বাকি থেকে যায়, তারা আর একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বসতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সংসদ।