প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে এবং পরীক্ষা পদ্ধতি নির্ভুল করতে আরও এক ধাপ এগোল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কেবল পরীক্ষার খাতায় নয়, আলাদা ‘কেজিং শিট’-এও পরীক্ষার নম্বর তুলতে হবে পরীক্ষকদের। প্রত্যেক খাতাপিছু একটি করে ‘কেজিং শিট’ দেওয়া হবে তাঁদের। খাতা দেখার পর পরীক্ষকদের সমস্ত ‘কেজিং শিট’ প্রধান পরীক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “জেলায় জেলায় বৈঠকের ভিত্তিতে পরীক্ষাব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ এবং নির্ভুল করতে আমরা সব সময়ই নয়া পদক্ষেপ করে থাকি। এটিও নতুন একটি সংযোজন।”
উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই মাধ্যমিকের খাতা দেখার ক্ষেত্রে লাল কালির পেন ব্যবহারের চল রয়েছে। খাতার মধ্যেই বিভিন্ন উত্তরের প্রাপ্ত নম্বর লেখা হয়। খাতার শেষে এবং উপরে উল্লেখ করা হয় মোট নম্বর। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, খাতা হারিয়ে যাওয়া, কালির নম্বর আবছা হয়ে যাওয়া, একাধিক নম্বর কাটাকুটি, প্রশ্নের উত্তর আগে পরে দেওয়ায় মোট নম্বর নির্ধারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফল প্রকাশের পর রিভিউ, স্ক্রুটিনি বা আরটিআই-এর ক্ষেত্রে নম্বর অনেকটা বেড়ে গিয়েছে, এমন উদাহরণও রয়েছে।
বাঙ্গুর ইনস্টিটিউটের প্রধানশিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “এই ‘কেজিং শিট’ চালুর ফলে উপকৃত হবেন সকলেই। এ বছর থেকে আলদা ‘কেজিং শিট’ দেওয়া হবে পর্ষদের তরফে। খাতায় বিভিন্ন উত্তরের প্রাপ্ত নম্বর এবং মোট নম্বর লেখার পাশাপাশি ‘কেজিং শিট’-এও লিখতে হবে।”
এই নয়া পদ্ধতি চালুর ফলে রিভিউয়ের সময়ে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষক, দু’পক্ষই উপকৃত হবে। পর্ষদের আশা, এর ফলে আইনি জটিলতা এড়ানো সম্ভব হবে।
এই প্রসঙ্গে যোধপুর পার্ক গার্লস হাই স্কুলের সহ প্রধানশিক্ষিকা অজন্তা চৌধুরী বলেন, “এই পদ্ধতি চালুর ফলে স্বচ্ছতা এবং সুরক্ষার জায়গাটা যেমন প্রাধান্য পাবে, পাশাপাশি পরীক্ষকদের খাটনি আরও বৃদ্ধি পাবে। পর্ষদের এই বিষয়টিও নজরে রাখা উচিত।”
উল্লেখ্য, এ বছর ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ৫০ হাজারের সামান্য বেশি।