আচার্য ভবন। ছবি: সংগৃহীত
রাজ্যস্তরে ফের ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডিএলএড) কোর্সে ভর্তির আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হল। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার জন্য রাজ্যস্তরে এই ডিএলএড কোর্স সম্পূর্ণ করা আবশ্যক। পর্ষদের তরফে এই পাঠক্রমে প্রথম পর্যায়ে ভর্তির আবেদনের জন্য ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পোর্টাল চালু রাখা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়। এর পর ২৭ সেপ্টেম্বর ফের একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য ৪ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন জানানো যাবে।
প্রসঙ্গত, এই পাঠক্রমটি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন অনুমোদিত এবং পর্ষদ কর্তৃক স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেই পড়ানো হবে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে মোট ৬৫৬ টি কলেজ রয়েছে, যেখানে ডিএলএড কোর্স করানো হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৪৪টি সরকারি কলেজে ক্লাস করানো হবে। বাকি কিছু অনুমোদিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও এই পাঠক্রমের ক্লাস করার সুযোগ থাকবে।
এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদনকারীদের উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা বাঞ্ছনীয়। অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর বয়সি পড়ুয়ারাই আবেদন করতে পারবেন। উচ্চ মাধ্যমিকে বেস্ট অফ ফাইভ স্কোরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হবে। তবে ওই সেরা পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে পরিবেশবিদ্যার নম্বর (ইলেকটিভ সাবজেক্ট নয়) থাকলে, সেই নম্বরটি গ্রহণযোগ্য হবে না।
চলতি মাসেই জানানো হয়েছিল, বিভ্রান্তি এড়াতে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তির পাশাপাশি, পর্ষদ মেধাতালিকাও প্রকাশ করবে। চলতি বছর থেকেই অফলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। পর্ষদ সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদনপত্র জমা পড়েছিল প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি। তাই শূন্য আসন পূরণ না হওয়ায় ফের আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে।
এই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘মোট ৪৫ হাজার আসনে বর্তমান পাঠক্রমে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত ২ হাজারেরও বেশি আসন খালি থাকায় ভর্তির আবেদন গ্রহণের সময়সীমা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এই মর্মে পর্ষদের ওয়েবসাইটে ভর্তির পোর্টালে বয়সের প্রমাণপত্র, উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট, পাসপোর্ট সাইজ ছবি-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং শংসাপত্র আপলোড করতে হবে। আবেদনকারীদের ১ হাজার টাকা আবেদনমূল্য হিসাবে জমা দিতে হবে।