ইউজিসি। সংগৃহীত ছবি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর প্রস্তুত করা নতুন খসড়ার নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা ৩ বছরের বদলে ৪ বছরের কোর্স করলে তবেই স্নাতক স্তরে 'অনার্স' ডিগ্রি নিয়ে পাশ করতে পারবেন। ৪ বছরের স্নাতক কোর্সের কারিকুলাম ও ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক সংক্রান্ত খসড়াটি জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রস্তুত করা হয়েছে। সোমবার এই খসড়াটি বিজ্ঞপ্তি আকারে বেরোনোর কথা।
খসড়ায় জানানো হয়েছে, ছাত্রছাত্রীরা ৩ বছরের কোর্সের শেষে ১২০ নম্বর ক্রেডিট জমাতে পারলে তবেই স্নাতক স্তরের ডিগ্রিটি পাবেন। আবার যে শিক্ষার্থীরা ৪ বছরের কোর্স-এ ১৬০ নম্বর জমাতে পারবেন, তাঁরা স্নাতক স্তরে অনার্স ডিগ্রিটি পাবেন। এ ছাড়া, যে ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ বিষয়ে গবেষণার কাজ করতে চান, তাঁদের এই ৪ বছরের কোর্সে একটি গবেষণা প্রকল্পের কাজ করতে হবে। এর জন্য তাঁরা কোনও গবেষণায় বিশেষীকরণ-সহ স্নাতক স্তরে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করবেন।
যে পড়ুয়ারা ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত করেছেন এবং চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম (সিবিসিএস) অনুযায়ী ৩ বছরের স্নাতক স্তরের কোর্সটি করছেন, তাঁরাও এই ৪ বছরের স্নাতকের কোর্সটি করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই সম্প্রসারিত কোর্সে স্থানান্তরণের জন্য কোনও সংযোগস্থাপনকারী কোর্সও চালু করা হতে পারে।
বর্তমানে পড়ুয়ারা ৩ বছরের স্নাতক স্তরের পড়াশুনো শেষ করলেই অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। নতুন এই ৪ বছরের স্নাতক স্তরের প্রোগ্রামে এই নতুন পরিবর্তনগুলি ছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের যে কোনও সময়ে কোর্স করার বা কোর্স থেকে বিরতি নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। যদি কেউ তাঁদের ৩ বছরের কোর্সটি থেকে বিরতি নেন, তা হলে তাঁরা পরবর্তী ৭ বছরের মধ্যে তাঁদের কোর্সটি শেষ করতে পারবেন।
এ ছাড়াও, ৪ বছরের স্নাতক প্রোগ্রামের পাঠ্যক্রমে প্রচলিত মূল ধারার শাখাগুলির সঙ্গে স্বল্প পরিচিত কিছু শাখায় নানা ধরনের কোর্স চালু করা হবে, যেমন-- বিভিন্ন ভাষার কোর্স, দক্ষতা বৃদ্ধির কোর্স, পরিবেশবিদ্যার কোর্স, ডেটাসংক্রান্ত কোর্স, ডিজিটাল ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত কোর্স, স্বাস্থ্য, যোগাসন এবং খেলাধুলো সংক্রান্ত কোর্স।
দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরে ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের পছন্দের মূল বিষয়টি চাইলে পরিবর্তন করতে পারেন বা তা অপরিবর্তিতও রাখতে পারেন। পড়ুয়ারা একটি বা দু'টি মুখ্য বিষয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশুনো করতে পারবেন এই নতুন ব্যবস্থায়। পড়ুয়াদের একটি মুখ্য বিষয়ে স্নাতকের ডিগ্রিটি পেতে হলে তাঁকে সেই বিষয়ে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ক্রেডিট নম্বর পেতে হবে।