Group D

রেলে গ্রুপ ডি বিভাগে চাকরি খুঁজছেন? জেনে নিন খুঁটিনাটি

এই প্রতিবেদনে রেলের গ্রুপ ডি লেভেল ১-এ চাকরি করতে গেলে কী যোগ্যতার প্রয়োজন, পরীক্ষার পদ্ধতি কেমন-- এই সব নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি

সরকারি চাকরির খোঁজ ক্রমাগত করে গেলেও কোথায় আবেদন করা যায়, কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়, সে বিষয়ে অনেকেই অবগত থাকেন না। এই প্রতিবেদনে রেলের গ্রুপ ডি লেভেল১-এ চাকরি করতে গেলে কী যোগ্যতার প্রয়োজন, পরীক্ষার পদ্ধতি কেমন-- এই সব নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।

Advertisement

যোগ্যতা: রেলে গ্রুপ ডি যোগ্যতার মানদণ্ড রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (আরআরবি) দ্বারা নির্ধারিত হয়। সাধারণত, গ্রুপ ডি লেভেল ১ যোগ্যতার মানদণ্ডে চারটি প্রধান দিক রয়েছে। যেগুলি প্রার্থীদের পূরণ করা বাধ্যতামূলক। আরআরবি গ্রুপ ডি যোগ্যতার চারটি প্রধান দিক হল--

গ্রুপ ডি লেভেল ১ পরীক্ষায় বয়সের নিম্নসীমা ১৮ বছরএবং ঊর্ধ্বসীমা ৩৩ বছর পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে। সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী ছাড় থাকে।

Advertisement

প্রার্থীকে ভারত, নেপাল, ভুটানের নাগরিক হতে হবে।

প্রার্থীকে অবশ্যই মাধ্যমিক পাশ করতে হবে। এবং প্রার্থীর কাছে কেন্দ্র বারাজ্য সরকার প্রদত্ত প্রতিষ্ঠান বা বোর্ড থেকে দশম শ্রেণি পাশের শংসাপত্র থাকতে হবে।

আইটিআই (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট) ডিগ্রি অথবা ডিপ্লোমা থাকতে হবে এনসিটিভিটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ ট্রেনিং ইন ভোকেশনাল ট্রেডস) বা এসসিভিটি (স্টেট কাউন্সিল অফ ভোকেশনাল ট্রেনিং) আইটিআই (ইন্ডাস্ট্রিয়ালট্রেনিং ইন্সটিটিউড) থেকে।

প্রার্থীদের মেডিক্যাল ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হয় যে সব প্রার্থীকে, তাঁদের রেলওয়ে প্রশাসন দ্বারা পরিচালিত প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল ফিটনেস টেস্ট (গুলি) পাশ করতে হয়। মূলত চোখের পরীক্ষার উপরই বেশি নজর দেওয়া হয়।

প্রতীকী ছবি

পরীক্ষার সিলেবাস: আরআরবি গ্রুপ ডি লেভেল ১-এ মূলত চারটি বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রশ্নপত্র তৈরি হয়।

গণিত

যৌক্তিক বিশ্লেষণ

সাধারণ বিজ্ঞান

সাধারণ জ্ঞান এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলি

পরীক্ষার ধরণ: মূলত চারটি পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ পরীক্ষাটি হয়।

কম্পিউটার বেসড পরীক্ষা (সিবিটি): মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। গণিত এবং যৌক্তিক বিশ্লেষণ বিষয় ২৫ নম্বর করে মোট ৫০ নম্বর। সাধারণ বিজ্ঞান ৩০নম্বর, এবং সাধারণ জ্ঞান এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী বিষয়ে ২০ নম্বরে বিভক্ত করে মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। পরীক্ষার সময়সীমা ৯০ মিনিট দেওয়া হয়। প্রতি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর করে ধার্য থাকে। এবং ৩টি ভুল উত্তরে ১ নম্বর করে কাটা হয়।

শারীরিক পরীক্ষা বা ফিজিক্যাল এফিসিয়েন্সি টেস্ট (পিইটি):

পুরুষদের ক্ষেত্রে, ২ মিনিটে ১০০ মিটার দূরত্বের জন্য ৩৫ কেজি ওজন তুলতে এবং ৪ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে ১০০০ মিটার দূরত্ব দৌড়তে সক্ষম হওয়া উচিত।

মহিলাদের ক্ষেত্রে, ২ মিনিটে ১০০ মিটার দূরত্বের জন্য ২০ কেজি ওজন তুলতে এবং ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে ১০০০ মিটার দূরত্ব দৌড়াতে সক্ষম হওয়া উচিত।পুরুষ এবং মহিল উভয় ক্ষেত্রেই একবারই সুযোগ দেওয়া হয় প্রার্থীদের।

নথি যাচাইকরণ: যে সব প্রার্থী সিবিটি এবং পিইটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন,তাঁদের যোগ্যতা এবং বিকল্প অনুযায়ী নথি যাচাইয়ের জন্য ডাকা হয়। দুই বা ততোধিক প্রার্থীর একই নম্বর প্রাপ্ত হলে, তাঁদের যোগ্যতার অবস্থান বয়সের মানদণ্ড দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। এবং বয়স একই হলে,নামের বর্ণানুক্রমিক ক্রম অনুয়ায়ী মেধাতালিকা তৈরি করা হয়। যে সব প্রার্থী সিবিটি, পিইটি এবং নথি যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সফল ভাবে উত্তীর্ণ হতে পারেন, তাঁদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement