প্রতীকী ছবি।
প্রতি বছর যত পড়ুয়া মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় তার একটা বড় অংশ উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ হারায়। বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে দু’দিন ব্যাপী বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনার ১৬১৫টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা যোগ দিলেন ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কাম অ্যাওয়ারনেস ওয়ার্কশপ’-এ।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিজ্ঞানের প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহ তৈরি করতে এ বার প্রধান শিক্ষকেরাও বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন। তার জন্য এই কর্মশালায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, যাতে বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়ে পড়ুয়াদের আগ্রহ বৃদ্ধি করা যায় তার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ আনার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
দু’দিন ব্যাপী এই কর্মশালায় বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের উপর। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমুখী করতে তাঁদের নিয়েই বিদেশের ধাঁচে স্কুলে স্কুলে হাইব্রিড মোডে সচেতনতামূলক কর্মসূচির (অ্যাওয়ারনেস ওয়ার্কশপ) আয়োজন করা হবে। সেই কর্মসূচিতে নতুন যে যে বিষয় যুক্ত করা হয়েছে সেই বিষয়গুলি নিলে আগামী দিনে পেশা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন দিক খুলে যেতে পারে, উচ্চ শিক্ষায় কেন পড়ুয়ারা এই বিষয়গুলি (ডেটা সায়েন্স, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা-সহ বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়) বাছাই করবে সেই সব আলোচনা করা হবে। এ ছাড়াও বিজ্ঞানের গুরুত্ব কী সেই বিষয়েও বিস্তারিত পড়ুয়াদের কাছে তুলে ধরা হবে। যে তথ্য উঠে আসবে তা অনলাইনে নথিভুক্তও করে রাখা হবে বলে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক বলেন, ‘‘আমাদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমরা বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাউন্সিলের নানা আধুনিক কাজের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের অবহিত করা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া।’’
উল্লেখ্য, এই দু’দিনের কর্মশালায় কী ভাবে সচেতনতার কর্মশালা আয়োজন করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় । পাশাপাশি, স্কুল ম্যানেজমেন্ট, হেড এগজামিনার/ স্টুডেন্ট পোর্টালের বিষয়ে অবহিত করা, নানা কোর্সের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা, কেরিয়ার কাউন্সেলিং কী ভাবে করা যায়, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কী কী বিষয়ে নিয়ে পড়া যায়— এই সব বিষয়েও আলোকপাত করেন প্রধান শিক্ষক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বিভিন্ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা।