WB School infrastructure?

স্কুলে পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মসূচি, পরিকাঠামো কোথায়? প্রশ্ন শিক্ষক মহলের

শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্য, বহু স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকেরই অভাব রয়েছে। স্কুলগুলিতে এই ধরনের পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মসূচি পরিচালনা করবেন কারা? এতে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

অরুণাভ ঘোষ

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৭
Share:

প্রতীকী চিত্র।

আগামী বছরের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার এবং টিচার্স ডায়েরি প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাতে বেসরকারি স্কুলের মতো পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মসূচির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এই কর্মসূচি বা ক্লাস করানোর জন্য অতিরিক্ত শিক্ষক বা পরিকাঠামো কোথায়? প্রশ্ন শিক্ষক মহলের।

Advertisement

বাঙ্গুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মসূচির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার বেশির ভাগই বেসরকারি স্কুল অর্থাৎ আইসিএস‌ই বা সিবিএস‌ই স্কুলগুলিতে হয়ে থাকে। তার জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে গেলে বা শিখতে গেলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। রাজ্যর স্কুলগুলিতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের অভাব রয়েছে। অতিরিক্ত ক্লাস কারা করাবেন?”

শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্য, বহু স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকেরই অভাব রয়েছে। স্কুলগুলিতে এই ধরনের পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মসূচি পরিচালনা করাবেন কারা? এতে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দেওয়া অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারে নাচ, গান, নাটক, গিটার বাজানো, বুদ্ধিমত্তার উপর আলোচনা-সহ নানান বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এই সমস্ত শেখানোর জন্য দক্ষ প্রশিক্ষক বা শিক্ষকের প্রয়োজন। সর্বোপরি, অতিরিক্ত ক্লাসরুম বা পরিকাঠামোর প্রয়োজন। যা সিংহভাগ স্কুলগলিতেই নেই।

Advertisement

কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যাণ্ড অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যা বলছে, তা স্কুল স্তরে করতে পারলে ভাল। কিন্তু এর পরিকাঠামো কই!”

শুধু পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মসূচি নয়। শিক্ষকদের স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় ধার্য করে দেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা ৩৫-এর মধ্যে স্কুলে ঢুকতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। প্রার্থনা শুরু হবে ১০টা ৪০ মিনিটে। তার পরে কোন‌ও শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে ঢুকলে ‘লেট মার্ক’ দেওয়া হবে। আর ১১টা বেজে গেলে কোন‌ও শিক্ষক স্কুলে প্রবেশ করলে অনুপস্থিত হিসেবে ধরা হবে ওই দিনটি। স্কুলে থাকার ক্ষেত্রেও বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সময় ধার্য করে দেওয়া হয়েছে। ।

এ ছাড়াও মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পড়ুয়াদের জন্য থাকছে নিষেধাজ্ঞা। স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না তা উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। তবে পড়াশোনার কোনও কাজে মোবাইল ব্যবহার করতে হলে সংশ্লিষ্ট ক্লাসের শিক্ষক বা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement