আনন্দ কুমার। সংগৃহীত ছবি।
আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নিরন্তর। লক্ষ্য, দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে ভর্তির প্রবেশিকা জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন (জেইই)-এ সুবিধাবঞ্চিত পড়ুয়াদের সাফল্য। তাঁর এই প্রয়াস ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছে। তিনি আনন্দ কুমার। গণিতজ্ঞ এবং পটনায় ‘সুপার ৩০’-এর প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রতি আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনে তিনি জানান, এ বার তাঁদের জন্য শীঘ্রই অনলাইন এডুকেশনাল প্ল্যাটফর্ম চালু করতে চলেছেন।
আমেরিকার নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির কেলগ স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত ‘কেলগ ইন্ডিয়া বিজ়নেস কনফারেন্স, ২০২৪’-এর এ বারের থিম ছিল ‘রিইম্যাজিনিং ইন্ডিয়া: শেপিং দ্য গ্লোবাল ইকনমিক ল্যান্ডস্কেপ’। সেখানেই আনন্দ জানান, বর্তমান প্রযুক্তিকে যতদূর সম্ভব আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের স্বার্থে কাজে লাগাতে হবে। প্রতি বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ‘সুপার ৩০’ কোচিং সেন্টারের পড়ুয়াদের সাফল্য তাঁদের জীবনে সামগ্রিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আর তাই কুমার তাঁর স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘সুপার ৩০’-কে অনলাইন মাধ্যমে পড়ুয়াদের ঘরে পৌঁছে দিতে চান।
তবে হঠাৎ এই ভাবনা কী করে তাঁর মাথায় এল? আনন্দ তাঁর বক্তৃতায় জানিয়েছেন, গরিব পড়ুয়াদেরও উচ্চমানের শিক্ষালাভের সুযোগ মেলা উচিত। তাই কোভিড অতিমারির সময় থেকেই পড়ুয়াদের অনলাইনে পড়ানোর ভাবনা তাঁর মাথায় আসে। আনন্দ জানান, পৃথিবীতে মেধাবী পড়ুয়ার অভাব নেই। কিন্তু তাঁদের অনেকেই দারিদ্রের অন্ধকার পেরিয়ে সাফল্যের মুখ দেখতে পারে না। শুধুমাত্র সুযোগের অভাবে তাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েল। তাঁদের এই প্রতিকূলতা দূর করতেই অনলাইন কোচিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য উদ্যোগী হবেন আনন্দ।