Vocational Education Challenges

স্নাতকস্তরে কেন্দ্রীয় ভাবে বৃত্তিমূলক বিষয় ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ুয়ারা

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১৬১১টি স্কুলে মোট ১৬টি বৃত্তিমূলক বিষয় পড়ানো হয়ে থাকে। গত বছর পর্যন্ত ১৩টি বিষয় পড়ানো হতো। এ বছর আরও তিনটি যুক্ত হয়েছে তালিকায়। বৃত্তিমূলক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১৬টি বিষয় পড়ানো হলেও স্নাতক স্তরে মাত্র ৮টি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৫৪
Share:

সংগৃহীত চিত্র।

কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ার জেরে সমস্যায় দ্বাদশ উত্তীর্ণ বৃত্তিমূলক ছাত্রছাত্রীরা‌। কেন্দ্রীয় পোর্টালে গিয়েও কলেজ সিলেক্ট করে, বিষয় বাছাই করতে পারছে না বহু পড়ুয়া। এই মর্মে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এন‌এসকিউএফ পরিবার সংগঠন।

Advertisement

সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শুভদীপ ভৌমিক বলেন, “১১ বছরে ভোকেশনালাইজেশন অফ স্কুল এডুকেশন-এর অন্তর্গত বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে ধ্বংস করে সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও বৃত্তিমূলক বিষয় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সুযোগ ইচ্ছাকৃত ভাবে তৈরি করা হয়নি। যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দিচ্ছে। ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চলে যাচ্ছে। অবিলম্বে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছি।”

৪৬১টি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে পড়ুয়ারা বিএ, বিএসসি বা বিকম-এ স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারে। একই ভাবে ব্যাচেলর অফ ভোকেশনাল (বি-ভোক) -এও ভর্তির সুযোগ রয়েছে পড়ুয়াদের। সেই জায়গায় মাত্র ১৩টি কলেজে বি-ভোক পড়ার জন্য স্নাতক স্তরে আবেদন করতে পারে পড়ুয়ারা। আর সেখানেও নাম নথিভুক্তকরণ করতে গেলে সমস্যায় পড়ছে বৃত্তিমূলক শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১৬১১টি স্কুলে মোট ১৬টি বৃত্তিমূলক বিষয় পড়ানো হয়ে থাকে। গত বছর পর্যন্ত ১৩টি বিষয় পড়ানো হতো। এ বছর আরও তিনটি যুক্ত হয়েছে তালিকায়। বৃত্তিমূলক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১৬টি বিষয় পড়ানো হলেও স্নাতক স্তরে মাত্র ৮টি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে পড়ুয়ারা। বাকি বিষয়গুলি নিয়ে উচ্চশিক্ষার কোন‌ও সুযোগ রাখেনি সরকার। প্রত্যেক বছর উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় ৪২ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া বৃত্তিমূলক শিক্ষায় উত্তীর্ণ হন। আর সেখানে এই বিভাগে স্নাতক স্তরের আসন রয়েছে মাত্র ১২০০-র মতো। ১৩টি কলেজের মধ্যে উত্তরবঙ্গে মাত্র একটি কলেজ গৌড়বঙ্গ মহাবিদ্যালয় ও দক্ষিণবঙ্গে ১২টি কলেজে বৃত্তিমূলক বিষয় পড়ানো হয়ে থাকে।

পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে এই বিষয়ে শিক্ষা দফতর হস্তক্ষেপ করুক। কলেজ ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধি হোক, যাতে বৃত্তিমূলক বিষয় নিয়ে পাশ করা সমস্ত পড়ুয়া নিজেদের মতো করে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। তা না হলে এই ধরনের শিক্ষায় পড়ুয়ারা আগ্রহ হারাবে বলেই মনে করছে শিক্ষার্থী মহল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement