সংগৃহীত চিত্র।
জাপানের পর এ বার বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থায় আগ্রহ দেখালেন তাইওয়ানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থার মেলবন্ধন স্থাপনে তাইওয়ানের-এর ফু জেন ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে সে দেশের বেশ কিছু স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা ঘুরে গেলেন যাদবপুর বিদ্যাপীঠ স্কুলে। শুধু উপস্থিতি নয়, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মিলে নাচে-গানে তাল মেলালেন তাইওয়ানের পড়ুয়ারা।
১৫ জন ছাত্রছাত্রী এবং তিন জন শিক্ষক-শিক্ষিকার ওই দলটি স্কুল ঘুরে দেখে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে। মূলত জানতে চাওয়া হয়, কী ভাবে এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্কুলস্তর ও উচ্চশিক্ষার উন্নতি সাধনে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে স্কুল বা সরকারের তরফ থেকে।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “বাংলা এবং তাইওয়ানের সংস্কৃতি আমাদের শিক্ষাঙ্গনে মিলেমিশে একাকার হয়েছিল। যা এক বড় প্রাপ্তি স্কুলের কাছে। আগামী দিনে যত বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিধিরা আসবেন এবং এখান থেকে বাংলার পড়ুয়ারা বিদেশে যাবে, শিক্ষাক্ষেত্র তত নানা দিক খুলে যাবে।”
তাইওয়ানের ফু জেন ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের শিক্ষক ও পড়ুয়া যাতে সেই দেশে যান এবং সেখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা নিজেরা ঘুরে দেখেন। শিক্ষার উন্নয়নে নতুন কী ধরনের পাঠ্যক্রম চালু করা যায়, সেই প্রস্তাবও চাওয়া হয়েছে তাঁদের থেকে।
তাইওয়ানের প্রতিনিধি দলের তিন ঘণ্টার পরিদর্শনের জন্য স্কুলের তরফ থেকে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। একাদশ শ্রেণির ১০০ জন ছাত্রর সঙ্গে কথা বলেন ওই দেশের ছাত্রছাত্রী ও প্রতিনিধিরা। সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল নিয়েও আলোচনা হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তাইওয়ানের ছাত্র-ছাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, এয়ার অ্যান্ড ওয়াটার-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যাদবপুর বিদ্যাপীঠে। গত বছরও জাপান থেকে একই ভাবে ১২ জন পড়ুয়া ও পাঁচ জন শিক্ষক যাদবপুর এই স্কুলে এসেছিলেন।