প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসক হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট-আন্ডারগ্র্যাজুয়েট (নিট ইউজি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যক। প্রতি বছর এই পরীক্ষার জন্য কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি এই পরীক্ষার পাঠ্যক্রম সম্পর্কিত বিষয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-র তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পাঠ্যক্রমটি ‘আপডেট’ করা হয়েছে।
এনএমসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পেন অ্যান্ড পেপার টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবেন। এ বারের পরীক্ষায় একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং জীববিদ্যার পাঠ্যবই থেকে যাবতীয় প্রশ্ন থাকবে। পড়ুয়ারা মোট ১৩টি ভাষায় পরীক্ষা দিতে পারবেন।
এই পরীক্ষায় বসার জন্য শিক্ষার্থীদের বয়স অন্তত ১৭ বছর হতে হবে। দ্বাদশের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এই পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। তাঁদের দ্বাদশে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা এবং ইংরেজি ভাষা থাকা আবশ্যক। ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকলে নিট ইউজি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
এখনও পর্যন্ত বোর্ডের তরফে অনলাইনে নাম নথিভুক্তকরণের দিন ঘোষণা করা হয়নি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ২০ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেছিলেন। এ ছাড়াও ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল এডুকেশনের (ডব্লুএফএমই) তরফে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মেডিক্যালে স্নাতকোত্তীর্ণ ভারতীয়রা ডব্লুএফএমই অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পেতে চলেছেন। তাই এই বছর আরও বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থীদের আবেদন জমা পড়বে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।