এনআইআরএফ র্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ স্থানে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস। ছবি: সংগৃহীত।
২০২৪-র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (এনআইআরএফ) অনুযায়ী সেরা আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে কলকাতার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস। প্রসঙ্গত, এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এনআইআরএফ-এর তালিকায় চতুর্থ থেকে সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিতে পেরেছে। প্রথম স্থানে বেঙ্গালুরু ন্যাশনাল ল' স্কুল অফ ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি, দ্বিতীয় স্থানে নয়া দিল্লির ন্যাশনাল ল' ইউনিভার্সিটি, তৃতীয় স্থানে নালসার ইউনিভার্সিটি অফ ল' এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে পুণের সিমবিয়োসিস ল' স্কুল।
কী ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে এনআইআরএফ?
সর্বভারতীয় এই র্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমে দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিশেষ সূচকের ভিত্তিতে সেরার সেরা তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের উদ্যোগে এই বিশেষ র্যাঙ্কিং এর পরিকাঠামো পরিচালিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষাদান, শেখার পদ্ধতি ও শিক্ষা সম্পদ, গবেষণা ও পেশাদার কর্মপদ্ধতি, স্নাতকের ফলাফল, প্রসার ও অন্তর্ভুক্তি এবং বোঝার ক্ষমতা বা উপলব্ধি— এই সমস্ত ক্ষেত্রের খুঁটিনাটি তথ্য যাচাই করে তালিকা পেশ করে এনআইআরএফ। চলতি বছর সংশ্লিষ্ট র্যাঙ্কিং-এর জন্য নাম নথিভুক্ত করেছে ৭,৬২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চূড়ান্ত পর্বে তথ্য জমা পড়েছে ৬,৫১৭টি প্রতিষ্ঠানের।
তালিকা তৈরির পদ্ধতি:
নাম নথিভুক্ত করা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে সংগৃহীত তথ্য এবং সমীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট সূচকের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত করা হয় সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে। সেই সূচকের সঙ্গে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সার্বিক র্যাঙ্কিং সংখ্যা যোগ করা হয়। এর পরে বিষয় এবং শাখার ভিত্তিতে সেরার সেরা প্রতিষ্ঠানগুলির তালিকা তৈরি করা হয়।
এনআইআরএফ-এর প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, চলতি বছরে ১৯৫টি আইন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাম নথিভুক্ত করেছিল। এর মধ্যে দেশের উত্তর এবং পশ্চিম দিকের রাজ্যগুলি থেকে ৬৫-রও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। সেই তুলনায় দক্ষিণ এবং পূর্ব ভাগের রাজ্যগুলি থেকে যথাক্রমে ৩১ এবং ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাম নথিভুক্ত করেছিল।
সেরা ৪০টি আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) খড়্গপুর। ৩৯ নম্বর স্থান দখল করেছে অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়।