Bengal to avoid Paper Leaks

প্রশ্ন ফাঁস রুখতে ‘ম্যাজিক নম্বর’ ব্যবহার করবে পর্ষদ

পরীক্ষাকেন্দ্রে বসেই কেউ প্রযুক্তির অপব্যবহার করে প্রশ্নপত্র সামাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়, এই ধরনের ছলচাতুরি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে পর্ষদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এবার প্রশ্নপত্রে ‘ম্যাজিক নম্বর’ বা ইউনিক আইডির ব্যবহার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। যে ‘ম্যাজিক নম্বর’ প্রশ্নপত্রে খালি চোখে দেখা যাবে না কিন্তু ছবি তুললেই বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহারে সেই নম্বর বুঝতে পারবে পর্ষদ। জেলা সফরে গিয়ে প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এমনই কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

Advertisement

অনেক সময় দেখা গিয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে বসেই কেউ প্রযুক্তির অপব্যবহার করে প্রশ্নপত্র সামাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়, এই ধরনের ছলচাতুরি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে পর্ষদ।

পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “প্রত্যেকটা প্রশ্নপত্রের উপরে আমরা একটি করে ইউনিক আইডি নম্বর ব্যবহার করছি। যা প্রশ্নপত্রে-র প্রথম পাতায় লেখা থাকবে, কিন্তু অনান্য পাতায় নম্বরটি অদৃশ্য থাকবে যা ছবি তুললেই ধরা পড়বে।”

Advertisement

প্রত্যেকটি প্রশ্নপত্রে পৃথক পৃথক ইউনিক আইডি বা ‘ম্যাজিক নম্বর’ ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফ থেকে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্রের উপরে দেওয়া এই ইউনিক আইডি নম্বরটি অ্যাটেন্ডেন্স শিটে লিখতে হবে। পাশাপাশি উত্তরপত্রেও এই নম্বরটি লিখতে হবে।

পরীক্ষা চলাকালীন ঘরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যে পর্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর) থাকবেন তাঁকে এই পুরো বিষয়টি নজরদারি করতে হবে, জেলা সফরে পর্ষদের তরফ থেকে এমনই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। পর্ষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। সামাজমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়লেই সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্র কোন পরীক্ষার্থী বা কোন স্কুল থেকে ছড়িয়ে পড়েছে তা পর্ষদের বিশেষ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সহজেই জানা যাবে।

প্রশ্নপত্রে এই ‘ম্যাজিক নম্বর’ এমন ভাবে দেওয়া থাকবে যা কোনও ভাবে ছবি তুললেই পর্ষদ সহজে জানতে পারবে। তবে খালি চোখে এই নম্বরটি দেখতে পাবে না পড়ুয়ারা। কোন জেলার কোন স্কুল থেকে প্রশ্নপত্রটি ফাঁস হয়েছে সেটিও পরিষ্কার হয়ে যাবে এই বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহারে। ইতিমধ্যেই পর্ষদের তরফ থেকে জেলা সফর শুরু হয়েছে এবং সেখানকার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের এই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার সমন্ধে অবগত করা হয়েছে।

রামানুজ বলেন, “এ বছর প্রথম ১০ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থীর জন্য এই ধরনের কম্পিউটারাইজড ইউনিক আইডির ব্যবহার করা হচ্ছে। দু-একজন পরীক্ষার্থীর জন্য পুরো পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বারংবার প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় পর্ষদকে। এর ফলে পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও অস্বস্তির মুখে পড়েন। এই বিশেষ ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হল প্রকৃত দোষীরা যাতে শাস্তি পায়।”

২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ও শেষ ১২ ফেব্রুয়ারি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement