সংগৃহীত চিত্র।
লরেটো কলেজে চালু হতে চলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং এবং ডেটা অ্যানালিটিক্স নিয়ে সার্টিফিকেট কোর্স। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘থিওরি ইনটু প্র্যাকটিস ইন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট।’
পুঁথিগত বিদ্যার সঙ্গে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় চাকরি করতে গেলে প্রয়োজন বাস্তবিক জ্ঞান। তা অনেক ক্ষেত্রে পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে বলে মনে করছেন লরেটো কলেজ কর্তৃপক্ষ। পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি তাই ছাত্রীদের স্বনির্ভর করে তুলতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং-এর এই হাতে-কলমে শিক্ষার ব্যবস্থা। এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করতে রিকা ইনস্টিটিউটের (দিল্লি) সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছেন লরেটো কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মউ স্বাক্ষরের মুহূর্ত। নিজস্ব চিত্র।
কলেজে ভূগোল বিভাগের প্রধান সুষমা সহায় বলেন, “শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে ছাত্রীদের। তা সত্ত্বেও পছন্দমত চাকরি পাচ্ছে না। তার প্রধান কারণ চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা নেই। পড়াশোনা করার পরে উচ্চশিক্ষা ও চাকরির যাতে সমান সুযোগ পায় পড়ুয়ারা, তাই এই সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হয়েছে।”
এই পাঠক্রমের সময়সীমা ঠিক করা হয়েছে ৪২ ঘণ্টা। সপ্তাহে দু’দিন করে ক্লাস হবে। অফলাইন ও অনলাইন উভয় মোডেই ক্লাস নেওয়া হবে। আসন সংখ্যা ৭৫। লরেটো কলেজের পড়ুয়াদের শুধুমাত্র অফলাইন ক্লাস নেওয়া হবে। এ ছাড়া অনলাইন মাধ্যমে অন্যান্য কলেজের পড়ুয়ারাও এই পাঠক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে। রিকা ইনস্টিটিউশন-এর সঙ্গে মউ স্বাক্ষর হলেও পাঠক্রম শেষ করার পর পড়ুয়াদের যে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, তাতে মোট চারটি প্রতিষ্ঠানের নাম থাকবে। লরেটো কলেজ, রিকা ইনস্টিটিউশন, আইআইটি রুরকি এবং কেইও বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইনে যে সমস্ত ক্লাস হবে, সেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও পড়ুয়াদের ক্লাস করাবেন।
মউ স্বাক্ষরের মুহূর্ত। নিজস্ব চিত্র।
যৌথ ভাবে এই সার্টিফিকেট পাঠক্রমে শেখানো হবে পাইথন, জিআইএফ-সহ আধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং। হাতে কলমে শিক্ষাদানও করা হবে।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে। ইতিমধ্যেই ১০০ জনেরও বেশি ছাত্রী এতে নাম নথিভুক্ত করেছে। তবে ক্লাস করার জন্য অনুমোদন পাবে ৫০ জন। শুধু লরেটো কলেজ নয়, এই কলেজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ অন্যান্য কলেজের পড়ুয়ারাও এই পাঠক্রমে নাম নথিভুক্তকরণ এবং ক্লাস করতে পারবে। যেহেতু আসন সংখ্যা সীমিত, তাই চলতি মাস থেকে প্রথম পর্যায়ে ক্লাস শুরু হলেও নাম নথিভুক্তকরণের সুযোগ সকলকে দেওয়া সম্ভব হবে না। কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, আগামী বছরের শুরুতেই আবারও বাকি পড়ুয়াদের নিয়ে এই সার্টিফিকেট কোর্সের ক্লাস করানো হবে।