প্রতীকী ছবি।
২০২৪-এর উচ্চ মাধ্যমিকে স্ক্রুটিনি ও রিভিউ-এর পরে বিশাল রদবদল দেখা গিয়েছিল মেধাতালিকায়। তাই এ বছর আগে থেকেই বিশেষ বৈঠক সারল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সম্প্রতি পরীক্ষক এবং প্রধান পরীক্ষকদের নিয়ে এই বিষয়ে লম্বা বৈঠক করে সংসদ।
গত বছর তৎকাল স্ক্রুটিনি ও রিভিউ-এর ফলে মেধা তালিকায় ব্যাপক রদবদন ঘটে। ১২ জন মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ায় সেরা দশের কৃতীদের স্থান পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। দেখা যায়, রেজাল্ট বেরোনোর সময়ে কারও কোনও বিষয়ে ১১ নম্বর ছিল, যা স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের পরে ৭২ হয়ে যায়। আবার কেউ হয়তো প্রথমে ৪ নম্বর পেয়েছিল, তা পরে ৬৪ হয়ে যায়। ১৭-র জায়গায় স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের পরে ৭১-ও হয়েছে বেশ কিছু পড়ুয়ার।
এই ভুলভ্রান্তি এড়াতেই চলতি বছরের পরীক্ষার অনেক আগে এই বিশেষ বৈঠক করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তবে সূত্রের খবর, ভুল থাকলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের বৈঠকে সংসদের তরফ থেকে স্পষ্ট করা হয়নি।
সূত্রের খবর, ২০২৪-এর উচ্চমাধ্যমিকে তৎকাল পরিষেবায় বিষয়ভিত্তিক উত্তরপত্র স্ক্রুটিনি ও রিভিউ-এর জন্য ২২ হাজার ৮৩৬টি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৫,৪৫৯ জনের ফল পরিবর্তন করা হয়েছে। শিক্ষা সংসদ এই ধরনের বিপুল পরিবর্তন আর চায় না। তাই আগেভাগেই সতর্ক করল সকলকে।
কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘এক দিকে সতর্ক করছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আবার, অন্য দিকে এক জন পরীক্ষককেই একই সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখতে হচ্ছে। অথচ দেখা যায়, এমন অনেকেই আছেন, যাঁর কাছে হয়তো কোনও খাতাই নেই। উচ্চ মাধ্যমিক-মাধ্যমিকের এই সমন্বয়ের অভাবে সমস্যা কমছে না কোনও ভাবে। এই ভুলগুলো কী ভাবে এড়ানো যায়, সেগুলিও দেখা প্রয়োজন। তবে ভুলভ্রান্তি হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।’’
চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক শুরু হতে চলেছে ৩ মার্চ। শেষ হবে ১৮ মার্চ। নির্ধারিত দিনগুলিতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা, অর্থাৎ তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হবে। তবে হেলথ অ্যান্ড ফিজ়িক্যাল এডুকেশন, ভিস্যুয়াল আর্টস, মিউজ়িক এবং বৃত্তিমূলক বিষয়ের ক্ষেত্রে দু’ঘন্টার মধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। ২০২৫-এর মার্চে শেষ বারের মতো বার্ষিক ব্যবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। কারণ, এর পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০২৫-২৬ থেকে সিমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে পারবে পড়ুয়ারা। ২০২৪-এ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা ওই পদ্ধতিতে প্রথম বার পরীক্ষা দেবে।