প্রতীকী চিত্র।
জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের তৃতীয় দফার কাউন্সেলিং। মঙ্গল ও বুধবার মিলিয়ে প্রত্যাখ্যান এবং অনুপস্থিতির হার ২৬.১১ শতাংশ।
মঙ্গলবার তৃতীয় দফার কাউন্সেলিং-এ অনুপস্থিত ও প্রত্যাখ্যান করেছেন ১৯.৯ শতাংশ চাকরিপ্রার্থী। এই দিন ইতিহাস, ভূগোল, আরবিক, সংস্কৃতে থাকা ওয়েটিং লিস্টে চাকরিপ্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। এর মধ্যে ইতিহাসে ৬১ জন প্রার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৬ জন, ভূগোলে ৪৬ জনের মধ্যে ২২ জন, আরবিক এবং সংস্কৃত মিলিয়ে মোট ২২০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪২ জন চাকরিপ্রার্থী অনুপস্থিত ও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বুধবার কাউন্সেলিং ছিল পিওর সায়েন্স-এর চাকরিপ্রার্থীদের। এখানে ২২৫ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৫৬ জন। অনুপস্থিত ও প্রত্যাখ্যাতের সংখ্যা ৬৯। মঙ্গল ও বুধবার মিলিয়ে ৪২৫ জন প্রার্থীকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল, তার মধ্যে ১১১ জন প্রার্থী অনুপস্থিত ও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং-এ অনুমোদনপত্র হাতে পাওয়ার পর পাঁচ শতাংশেরও বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে যোগদান করেননি। স্কুল সার্ভিস কমিশন জানাচ্ছে, সুপারিশপত্র পেয়ে স্কুলে গিয়েও চাকরিতে যোগ না দেওয়া প্রার্থীর সংখ্যা কত, তা এখনই নির্দিষ্ট ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে যাঁরা স্কুলে যোগদান করছেন না, তাঁদের পদগুলি নথিভুক্ত হচ্ছে। এই সব পদে অপেক্ষমাণ প্রার্থীরা পরবর্তী কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ পাবেন।
দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত প্রার্থীদের জন্য যে শূন্যপদ তৈরি হয়েছিল, তার ভিত্তিতে তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হচ্ছে। এ বার তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ে যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন এবং যাঁরা সুপারিশপত্র পাওয়ার পরে স্কুলে গিয়েও যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই সব মিলিয়ে মোট শূন্যপদের ভিত্তিতে চতুর্থ কাউন্সেলিং-এ ডাকা হবে প্রার্থীদের। চতুর্থ কাউন্সেলিং হওয়ার সম্ভাবনা ফেব্রুয়ারি মাসে।
পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ-এর সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “স্কুলে গিয়ে চাকরিতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রার্থীর সংখ্যা খুব কম নয়। আমরা খবর পাচ্ছি, প্রায় ২০০-র মতো চাকরিপ্রার্থী যোগদান করেনি। যা ৫ শতাংশের অধিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের দাবি, তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই মেধা তালিকার বাকি অপেক্ষমান ১৮৯৮ জন প্রার্থীকে ডাকা হোক।”
ইতিমধ্যেই ১১,৩৪৪ জন প্রার্থীর কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়েছে। যাতে ২৪ শতাংশ অনুপস্থিত ছিল। অনুমোদনপত্র গ্রহণ করেছে ৮৬৫১ জন প্রার্থী। প্রথম কাউন্সেলিং-এ ডাকা হয়েছিল ৮,৭৪৯ জনকে। এদের মধ্যে অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যানকারীর সংখ্যা ২০৬৯। অর্থাৎ অনুমোদনপত্র গ্রহণ করেছিল ৬৬৮০ জন। দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং-এ ডাকা হয়েছিল ২৯৯৫ জনকে, তাঁদের মধ্যে অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যানকারীর সংখ্যা ৬২৪ এবং অনুমোদনপত্র গ্রহণ করেন ১৯৭১ জন। ১৪০৫২ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে এখনও বাকি ১২৯৯ জন। তাঁদের দ্রুত নিয়োগের দাবি করছে শিক্ষা মহল।