প্রতীকী ছবি।
স্কুল জীবনের শেষ পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক। এর পরই পড়ুয়ারা বেছে নেবে উচ্চ শিক্ষার নানা দিক। কেউ চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে আগ্রহী হবে, কেউ বা ইঞ্জিনিয়ারিং। আবার, অনেকেই হোটেল ম্যানেজমেন্ট, নার্সিং, সাধারণ বিষয়ে স্নাতকের পথ বেছে নেন। তবে সব কিছুর জন্যই প্রয়োজন হয় উচ্চ মাধ্যমিকের ভাল নম্বর। চলতি বছরের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই সময় কোন কোন দিক বিশেষ ভাবে নজর দিলে ভাল নম্বর পাওয়া যাবে, সেই বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন যোধপুর বয়েজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার।
এখন সময় খুবই কম রয়েছে। এই সময় ‘মক টেস্ট’-এর মাধ্যমে অনুশীলন করা প্রয়োজন। যাতে পরীক্ষায় সময় মতো সব উত্তর লিখে আসতে পারে পড়ুয়ারা।
সময় মতো রিভিশন দিয়ে নিতে হবে। তারপর পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী মেনে বিগত ১০ বছরের প্রশ্নপত্র ধরে অনুশীলন করতে হবে। সঙ্গে টেস্ট পেপার এবং মক টেস্টের প্রশ্নও অনুশীলন করা দরকার।
বিগত ১০ বছরের প্রশ্ন খুবই ভাল করে অভ্যাস করতে হবে। যাতে পরীক্ষার সময় পুরনো প্রশ্নপত্র থেকে কোনও প্রশ্ন এলে সহজেই উত্তর লিখতে পারে পরীক্ষার্থীরা।
এই সময় ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলে ভাল। অর্থাৎ, রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুমোনো এবং ভোরে ওঠার অভ্যাস করা দরকার। যাতে পরীক্ষার সময় কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়।
হালকা জাতীয় খাবার খাওয়া শ্রেয়। এখন প্রায়ই আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। তাই শরীররের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। শরীর ঠিক না থাকলে পরীক্ষার সময় সমস্যা হতে পারে।
এই সময় অনেক পড়ুয়াই সর্বভারতীয় স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষার দিকে বেশি নজর দিয়ে থাকে। কিন্তু, উচ্চ মাধ্যমিকও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সময় উচ্চ মাধ্যমিকের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলও পরবর্তী সময়ে সব জায়গায় প্রয়োজন হয়। তাই এই সময় সর্বভারতীয় স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা চাইতে উচ্চ মাধ্যমিকের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
সব শেষে বলা যায়, এই সময় কোনও রকম মানসিক চিন্তা না বাড়িয়ে, ভয় না পেয়ে সুস্থ মনে ভাল করে পরীক্ষা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।