প্রতীকী চিত্র।
১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তার আগে শেষ মুহূর্তের জন্য শুধু বইয়ের পাতায় চোখ বোলানোটা যথেষ্ট নয়। পরীক্ষার্থীদের নিজেদেরও সুস্থ এবং সবল রাখতে হবে। পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে এবং সেখানে প্রবেশের পরও বেশ কিছু বিষয়ে একটু সতর্ক থাকতে হবে। হাজার হোক, অন্য স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার একটি চাপা ভয় সকলের মনেই থাকে। সেই ভয়কে জব্দ করতে হলে সবার আগে নিজেকে এটা বোঝাতে হবে, এই পরীক্ষার আগে সে মানসিক ভাবে প্রস্তুত।
পাশাপাশি, পাঠ্যবইটা যতটা বেশি মাথায় গেঁথে যাবে, ততই আত্মবিশ্বাস বাড়বে। কিন্তু তাই বলে পরীক্ষার আগের দিন রাতে না ঘুমিয়ে পড়াশোনা করার কোনও দরকার নেই। রাতে ভাল ভাবে খেয়ে ঘুমোতে হবে, যাতে মন এবং শরীর— দুটোই ঝরঝরে থাকে। খাওয়া এবং ঘুম বাদ দিলে কিন্তু মুশকিলে পড়তে হবে।
পরীক্ষার আগে অন্যদের প্রস্তুতি দেখে ঘাবড়ে গেলে চলবে না। নিজেকে বারবার বোঝাতে হবে, হ্যাঁ আমি পারব। খুব বেশি চিন্তা করতে শুরু করলে কিন্তু এত মাসের প্রস্তুতি কোনও কাজেই আসবে না। কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষার ভয় তখনই জয় করতে পারবে, যখন সে মাথা ঠান্ডা করে শুধু নিজের প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেবে। তেমন হলে বইয়ে নজর দেওয়ার আগে পাঁচ মিনিটের জন্য ধ্যান করলেও চিন্তা অনেকটাই দূর হবে।
পরীক্ষার আগের প্রস্তুতির পাশাপাশি, পরীক্ষার হলে পৌঁছে যাওয়ার পরও কিছু বিষয়ে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। হলে প্রবেশ করার সময় কোনও বৈদ্যুতিন সামগ্রী সঙ্গে যেন না থাকে। প্রথম দিন অন্তত এক ঘন্টা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়াই শ্রেয়। একই ভাবে অন্যান্য দিনগুলিতে নির্ধারিত সময়ের অন্তত ৩০ মিনিট আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে।
পরীক্ষার্থীদের কোন ঘরে আসন রয়েছে, সেটাও ভাল ভাবে দেখে নিতে হবে, যাতে পরীক্ষার দিনগুলিতে ওই বিষয় নিয়ে বেশি সময় নষ্ট করতে না হয়। পরীক্ষকেরা যে ভাবে পরীক্ষার নিয়ম পালন করতে বলবেন, সে ভাবেই পরীক্ষা দিয়ে শৃঙ্খলা বজায় রেখে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাঁদের অভিভাবকদেরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। পরীক্ষার কয়েকটা দিন মুখ গুঁজে পড়াশোনা করার জন্য অযথা বকাবকি করলে চলবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। খুব বেশি ভারি খাবার খাওয়ালে চলবে না। আবার ভাজাভুজি জাতীয় খাবারের বায়না করলে সেটাও ভাল ভাবে বুঝিয়ে বারন করতে হবে। কোনও রকম মানসিক চাপ যাতে পরীক্ষার্থীদের উপর না পড়ে, সেটা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব অভিভাবকদেরই। সর্বোপরি বাড়িতে যেন পড়াশোনার পরিবেশ বজায় থাকে। এতে পরীক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করার উদ্যম পাবে।