প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাজ্য শিক্ষা দফতর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে দু’দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’।
৮ ও ৯ নভেম্বর জোকাতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেণ্ট (আইআইএম)-শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করবে। প্রাথমিক ভাবে রাজ্যের স্কুল ও কলেজ মিলিয়ে ২০০ জনকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হল এলাকা ভিত্তিক স্কুল এবং কলেজগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।
প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা সংগঠনের সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতিকে অনুসরণ করে এই ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। নির্দিষ্ট আইন তৈরি না করলে এই ধরনের প্রশিক্ষণে সাফল্য আসবে না।”
বর্তমানে সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির মধ্যে একাধিক স্কুলে পরিকাঠামোর অভাব এবং ছাত্র শিক্ষক অনুপাত নিয়েও উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষা দফতরের কাছে। শিক্ষা দফতরের সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বহু স্কুলে সব রকম পরিকাঠামো সমান ভাবে নেই। কোথাও গ্রন্থাগার বেহাল আবার কোথাও গবেষণাগারগুলি উপযুক্ত নয় গবেষণার জন্য। অনেক স্কুলে কম্পিউটার শেখার ঠিক মতো ব্যবস্থা নেই। শিক্ষার পরিকাঠামোর উন্নতির স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে শিক্ষা দফতর।
সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতিতে এলাকা ভিত্তিক স্কুল কলেজগুলির মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই ধরনের উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। সরাসরি রাজ্য সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি-কে মান্যতা না দিলেও ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ নামে এই বিশেষ প্রশিক্ষণে উদ্যোগী হয়েছে।
কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “অন্য স্কুলের পড়ুয়ারা যখন আরেকটি স্কুলের পরিকাঠামো ব্যবহার করবে তখন তা নষ্ট হওয়া বা রক্ষণাবেক্ষণ করার ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা তৈরি হবে, যা স্কুলগুলির কাছে বর্তমান পরিস্থিতিতে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।”
শুধু স্কুল নয় রাজ্যের বিভিন্ন কলেজকেওএই বিশেষ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত করছে সরকার। ফলে কলেজের পরিকাঠামোও ব্যবহার করতে পারবে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, প্রয়োজনে কলেজের শিক্ষকরা স্কুলে গিয়ে পড়ুয়ারাদের ক্লাস নিতে পারবেন।