(বাঁ দিক থেকে) কৌস্তভ সাহু, তনুকা পাল, অগ্নিভ পাল, ধৃতিমান পাল।
মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জেলার জয়জয়কার, যা প্রতি বছরের ছবি। চলতি বছর মেধাতালিকা অনুযায়ী বাজিমাত করেছে কালিম্পং। মোট ৯৬.২৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ৯৫.৪৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। কলকাতা যদিও তৃতীয় স্থানে রেখেছে নিজের নাম। ৯১.৬২ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছে কলকাতা থেকে। পশ্চিম মেদিনীপুর ৯১.৪১ শতাংশ পেয়ে রয়েছে চতুর্থ তালিকায়।
সেরা ১০-এর মেধাতালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে রয়েছে চার জন।
৯৮.২৯ শতাংশ পেয়ে জেলা থেকে প্রথম এবং মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কৌস্তভ সাহু। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র কৌস্তভ। প্রাপ্ত নম্বর পেয়েছে ৬৮৮। কৌস্তভের বাবা-মা দু’জনেই স্কুল শিক্ষক। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখে মাধ্যমিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রথম স্থানাধিকারী।
জেলার নিরিখে দ্বিতীয় এবং মেধাতালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে তনুকা পাল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। তনুকার বাড়ি মেদিনীপুর শহরের বিধাননগর। বাবা দেবব্রত পাল পেশাগত ইঞ্জিনিয়ার এবং মা বিদিত পাল গৃহবধূ। তনুকা মাধ্যমিক পাশ করল মেদিনীপুর মিশন গার্লস স্কুল থেকে। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ করতে ভালবাসে। গানেও মজে থাকতে মন চায় তনুকার। বাবার মতো ভবিষ্যতের লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার।
মেধাতালিকায় নবম হয়েছে ধৃতিমান পাল। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ধৃতিমানের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। মেধাতালিকায় নাম থাকবে আশা করেনি সে। এ হেন ফলে খুবই খুশি পরিবারের সকলে। এর পর মেডিক্যাল পড়ার দিকে এগোতে চায় ধৃতিমান।
জেলার শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের ছাত্র অগ্নিভ পাত্র মেধাতালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। যদিও এই ফলে খুব বেশি খুশি নন অগ্নিভ। এর থেকে আরও ভাল ফল আশা করেছিল সে। ভবিষ্যতে মেডিক্যাল পড়তে চায় অগ্নিভ।