Fake caste certificate scam

ফের ভুয়ো জাতি শংসাপত্র নিয়ে শিক্ষকতার অভিযোগ, পর্ষদকে চিঠি রাজ্য পুলিশের

ভুয়ো জাতি শংসাপত্র নিয়ে শিক্ষকতা করছেন দু’জন শিক্ষক। সূত্রের খবর, তাঁরা ২০১৫ সালে টিচার এবিলিটি টেস্ট (টেট) উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২০১৭ সালে নিয়োগ হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫ ১৪:৫৪
Share:
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ফের ভুয়ো জাতি শংসাপত্র নিয়ে শিক্ষকতার অভিযোগ। এ বার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অধীনস্থ মালদহ জেলার এক স্কুলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠল। সম্প্রতি এই নিয়ে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিরোধী শাখা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে চিঠি দিয়েছে।

Advertisement

পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘ক্রিমিনাল ব্রাঞ্চ থেকে আমাদের কাছে একটি চিঠি এসেছে মালদহের দু’জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আমরা সংশ্লিষ্ট জেলায় তা তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে বিশদ জানা যাবে।’’

ভুয়ো জাতি শংসাপত্র নিয়ে শিক্ষকতা করছেন দু’জন শিক্ষক। সূত্রের খবর, তাঁরা ২০১৫ সালে টিচার এবিলিটি টেস্ট (টেট) উত্তীর্ণ হয়েছেন। ভুয়ো জাতি শংসাপত্র দেখিয়ে ২০১৭ সালে কাজে নিযুক্ত হয়েছেন। এমন অভিযোগ ওঠার পরই রাজ্য পুলিশের তরফে পর্ষদের কাছে চিঠি যায়। ওই দু’জন শিক্ষকের নাম, বাড়ির ঠিকানা-সহ বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করেই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর পরই মালদহের জেলা প্রাথমিক রাজ্য পর্ষদের চেয়ারম্যানকে তদন্ত করে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেছে পর্ষদ।

Advertisement

উল্লেখ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি)-র অধীনস্থ স্কুলে শিক্ষকতারত এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ জন পড়ুয়া ডিগ্রি নিয়েছেন ভুয়ো জাতি শংসাপত্রর সাহায্যে। সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অভিযোগ আসে পিএইচডি এবং আইন স্নাতক (বিএএলএলবি) স্তরে বেশ কিছু পড়ুয়া আদৌ সংরক্ষিত বিভাগের নন, কিন্তু তাঁরা ভুয়ো জাতি (কাস্ট) শংসাপত্র দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রির জন্য ভর্তি হন। মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসে। যাঁদের অনেকেই ইতিমধ্যে ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন, আবার অনেকে বর্তমানে বিএএলএলবি স্তরে পঠনরত। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ আসার পরই যাচাইকরণের জন্য ওই পড়ুয়াদের সমস্ত নথি সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের পাঠানো তথ্যের উপরই পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে।

আবার, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এ ভুয়ো জাতি-শংসাপত্র ব্যবহার করে স্কুলে চাকরি করারও অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে রাজ্য পুলিশের তরফে চিঠিও দেওয়া হয়েছে এসএসসি-কে। এই সংক্রান্ত নির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজ্য পুলিশ। প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি তাদের একটি চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য পুলিশ। পুলিশের পাঠানো ওই চিঠিতে তিন জনের নামে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে। সেটি ২০১২ সালের এবং নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকপদে নিয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে কমিশনের কাছে তথ্য তলব করে চিঠিটি পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুলিশের কাছে একটি রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কমিশনকে বলা হয়েছে। কিন্তু চিঠিতে ওই তিন জনের বিষয়ে বিশদ তথ্য পুলিশ জানায়নি বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তাই ওই বিষয়ে পুলিশকে আরও তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে কমিশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement