প্রতীকী চিত্র।
বাংলা, ইংরেজি-র মতো সংস্কৃত, বেদ, পুরাণ নিয়ে পড়াশোনায় আগ্রহ থাকে অনেকেরই। কিন্তু এই বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশোনার পরে কাজের সুযোগ কেমন? উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রেই বা কী কী পথ খোলা রয়েছে? এই সংক্রান্ত তথ্য নিয়েই বিশদ আলোচনা করলেন সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজেন্দ্রনাথ অধিকারী।
রাজেন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, দেশের কিছু বাছাই করা প্রতিষ্ঠানে সংস্কৃত, অদ্বৈত বেদান্ত, সাহিত্য, পুরাণ, উপনিষদ, ব্যাকরণ, ন্যায়-এর মতো একাধিক বিষয় ট্র্যাডিশনাল ওরিয়েন্টাল লার্নিং পদ্ধতির অধীনে পড়ানো হয়ে থাকে। এই বিষয়গুলি নিয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ার সুযোগ রয়েছে। স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা সম্পূর্ণ হওয়ার পরে উল্লিখিত বিষয়ে ‘আচার্য’ ডিগ্রি দেওয়া হয়, যা সংস্কৃতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমতুল্য। এই বিষয়গুলি নিয়ে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গবেষণা সংক্রান্ত কাজের সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষকতা বা অধ্যাপনার পাশাপাশি, অনুবাদক, ইন্টারপ্রেটর, মিউজ়িয়াম কিংবা কালচারাল সেন্টারের আধিকারিক, ট্যুর গাইড, ল্যাঙ্গুয়েজ় কনসালট্যান্ট-এর মতো বিভিন্ন পদেও সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পেতে পারেন। এ ছাড়া, সংস্কৃতে স্নাতক ছাত্র-ছাত্রীদের মতো ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতিতে পাঠ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যও সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষা বা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং আর্কিয়োলজি বিভাগে কাজের সুযোগ রয়েছে। শিক্ষকতা বা অধ্যাপনার ক্ষেত্রে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট)-ও দেওয়া যায়।
বর্তমানে প্রাচীন পুঁথিকে ডিজ়িটাইজ় করে পড়ানো হয়ে থাকে। টোল পদ্ধতিতে পড়ানো হলেও আধুনিক ক্লাসরুমেই হয় ক্লাস। পাঠদানের পদ্ধতি উন্নত হওয়ায় এই বিষয়গুলি নিয়ে পড়তে আগ্রহীদের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে-- এমনটাই জানিয়েছেন রাজেন্দ্রনাথ। প্রসঙ্গত, সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাণিনি ব্যাকরণ, অদ্বৈত বেদান্ত এবং সাহিত্য— এই তিনটি বিষয় পড়ানো হয়ে থাকে। চলতি মাসেই এই বিষয়গুলিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেতে পারেন পড়ুয়ারা।