IIEST Shibpur on Startups

স্টার্টআপের ক্ষেত্রে কেমন প্রস্তুতি প্রয়োজন? কী জানালেন আইআইইএসটি শিবপুরের ডিরেক্টর?

গতানুগতিক চাকরির পাশাপাশি, নিজের উদ্যোগে কোনও সংস্থা তৈরি করা বা ব্যবসা শুরু করার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। তাই অভিজ্ঞদের পরামর্শের পাশাপাশি, আর্থিক সহযোগিতাও বিশেষ ভাবে প্রয়োজন।

Advertisement

স্বর্ণালী তালুকদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৪০
Share:

স্টার্টআপ নিয়ে নিজস্ব মতামত পেশ করেছেন আইআইইএসটি শিবপুরের ডিরেক্টর। নিজস্ব চিত্র।

প্রযুক্তির উন্নাতির সাথে সাথে, গতানুগতিক চাকরি ছাড়াও ব্যাবসায়িক উদ্যোগ এবং স্টার্টআপ-এর চাহিদা ক্রমবর্ধমান। বর্ধিত চাহিদার কথা মাথায় রেখে পড়ুয়াদের উৎসাহ যোগাতে তৎপর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুর। এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর ভিএমএসআর মূর্তি জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিদ্যার্জনই যথেষ্ট নয়। প্রথাগত চাকরির পাশাপাশি, স্টার্ট-আপ বা উদ্যোগের ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের উন্নতির প্রয়োজনীয়তাও প্রবল।

Advertisement

সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এর উত্তরে অধিকর্তা বলেন, “২০০৯ সাল থেকে এই ধরনের উদ্যোগে উৎসাহ জোগাতে অন্ত্রেপ্রেনিয়রশিপ ডেভেলপমেন্ট সেল তৈরি করা হয়েছিল। ওই সেলের দায়িত্বে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারাই। উল্লিখিত সেলটি অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনের অনুমোদনে গঠন করা হয়েছিল। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট সেলের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে উদ্যোগপতি হওয়ার শিক্ষাদানের পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজও সমান ভাবে করা হচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞের সঙ্গে ক্লাসে আইআইইএসটি শিবপুরের পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।

জাতীয় শিক্ষানীতির নির্দেশিকা অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য পাঠ্যক্রমে একাধিক বিষয় সংযোজিত হয়েছে। সেই মতোই আইআইএসটি শিবপুরের তরফে গবেষণা, ডিজ়াইন এবং প্রোডাকশন নিয়ে পড়াশোনা করেও পড়ুয়ারা যাতে উদ্যোগপতি হয়ে উঠতে পারেন, তার সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি, দ্বিতীয় বর্ষ থেকে তাঁদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ কিংবা ইন্টার্নশিপ করার বিষয়ে বেশি করে উৎসাহ দেওয়া হয়ে থাকে। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজেই লাগিয়েই পরবর্তী কালে তাঁরা পেশা বেছে নিতে পারেন।

Advertisement

সম্ভাবনাময় উদ্যগপতিদের উৎসাহ ও সহায়তা দেবার লক্ষ্যে, ২০১৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানে টেগোর সেন্টার ফর গ্রিন টেকনোলজি বিজ়নেস ইনকিউবেশন স্থাপনা করা হয়। এই সেন্টারের কাজ কী? মূলত প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের কী ভাবে নতুন ব্যবসা শুরু করতে হবে, কিংবা সংস্থা স্থাপনের ক্ষেত্রে পুঁজির পাশাপাশি, আরও কী কী বিষয় নিয়ে সচেতন থাকতে হবে— এই সমস্ত বিষয় শেখানো হয়ে থাকে। ওই সেলের সঙ্গেই প্রতিষ্ঠানের হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, এবং ইনস্টিটিউটশন’স ইনোভেশন কাউন্সিল নিয়মিত ভাবে কাজ করে চলেছে। ভবিষ্যতে সমস্ত উদ্যোগের ব্যাপক প্রসারের লক্ষ্যে, এই প্রতিষ্ঠানে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন পার্ক তৈরি এবং ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর ডিজ়াইন অ্যান্ড অন্ত্রেপ্রেনিয়রশিপ-এর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উল্লিখিত কর্মসূচিগুলি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের মালবীয় মিশনের ‘মিশন আত্মনির্ভর’ এবং ‘বিকশিত ভারত’-এর মতো উদ্যোগের অনুপ্রেরণায় ২০৪৭-এর মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে চালু হতে চলেছে।

চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত সুস্থায়ী পরিবেশ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনাচক্র, কোডিং এবং ডিজ়াইনিংয়ের সাহায্যে একাধিক সামগ্রী তৈরি, দক্ষতাবৃদ্ধির জন্য হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পাশাপাশি, পড়ুয়ারা অন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়েও এই বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের থেকে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও বেশি করে সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে, এমনটাই তিনি জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement